২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সচল হয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বাণিজ্য। শনিবার (৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত (৪ দিন) বন্দরটি দিয়ে ৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এ বাণিজ্য চলবে আগামী ০৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
গত ০৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ফলে ভারতে ইলিশ রপ্তানিও বন্ধ ছিল।
ইলিশ রপ্তানিকারক সততা ফিসের স্বত্বাধিকারী সাহাদুর রহমান খোকন জানান, তিনি ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিলেন। এ বছর দেশের নদী ও সাগরে ইলিশ কম ধরা পড়ায় ও রপ্তানির সময় কম থাকায় ৪০ মেট্রিক টনের মধ্যে ২৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছিলেন। এবং সরকার নতুন করে আবারও ১০ দিনের জন্য ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়েছে। ফলে তিনি বাকি ১৬ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান-নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, ভারতে ইলিশ রপ্তানির নির্দেশনাপত্র তারা হাতে পেয়েছেন। রপ্তানিকারকরা অবশিষ্ট ইলিশ রপ্তানি শুরু করেছেন। গত চার দিনে ইলিশ রপ্তানিকারকরা ৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছেন। এছাড়া ভারতে এ পর্যন্ত মোট ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন। যা এখনো ইলিশ রপ্তানি বাকি রয়েছে ৩ হাজার ৫১১ মেট্রিক টন। এবং (৫ নভেম্বরের) মধ্যে বাকি ইলিশ ভারতে রপ্তানি শেষ করতে হবে।
জানা গেছে, ইলিশ উৎপাদন সংকটের জন্য দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সরকার ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবছর ১১৫টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। যা নির্দেশনা ছিল চলতি মাসের ১০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি শেষ করতে হবে। কিন্তু ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ইলিশ ধরা বন্ধের নির্দেশনায় হঠাৎ করে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এবং প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এসব চালান ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।