ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক সই করা এই আদেশ ১ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। রোববার (২ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে আধুনিক ই-পেমেন্টে বা এ-চালান পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ে রাজস্ব পরিশোধ করে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
জাল চালান প্রতিরোধ এবং রাজস্ব ফাঁকি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সব ধরনের কর পরিশোধ আধুনিক পদ্ধতি বাস্তবায়নে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর।
এনবিআরের পরিকল্পনা অনুসারে ব্যবসায়ীদের এই প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে বাধ্যতামূলক ই-পেমেন্টের ভ্যাটের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে এনবিআর পরোক্ষ কর দিতে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করে। আর ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক ও কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।
এর আগে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত সুফল মেলেনি। তাই ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করতে ৪১টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ততার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আয়কর শাখায়ও আয়কর দিতে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করার জন্য কাজ চলছে। এনবিআর ২০২০ সালের অক্টোবরে অটোমেটেড চালান (এ-চালান) ব্যবস্থাও চালু করে, করদাতাদের ব্যাংকিং চ্যানেল ও মোবাইল আর্থিক পরিসেবার মাধ্যমে অনলাইনে ট্যাক্স এবং ফি দেওয়ার সুযোগ চালু রাখে। এছাড়া ব্যক্তি করদাতাদের জন্য এ-চালানকে বাধ্যতামূলক করার বিষয়েও বিবেচনা করছে এনবিআর।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণ বিতরণের শর্ত হিসাবে ভ্যাট আদায়ের দক্ষতা উন্নত এবং প্রতারণামূলক লেনদেনের ঝুঁকি কমাতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেল এবং এমএফএস ব্যবহার করে ৫০ হাজার টাকার বেশি ভ্যাট পরিশোধের সুপারিশ করেছিল। তবে এনবিআর সিস্টেমটি চালুর প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।