ঢাকা,৭ মে মঙ্গলবারঃ আজ সকালে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ডঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,’এবারের মৌসুমে বোরো ফলন ভালো হওয়ায়, আগামী ১৫-২০ দিন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ৫-১০ লাখ টন চাল রপ্তানি করা যায় কি না।’ এখন পর্যন্ত উত্তোলিত বোরো ধান উদ্বৃত্ত আছে বলে তিনি জানান। এমনকি বোরো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আরও উদ্বৃত্ত হবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন।
এবার সরকার গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চাইতে দুই টাকা কমে ৩৬ টাকা কেজি দরে, ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ বোরো চাল কিনছে। ঠিক কি পরিমান ধান উদ্বৃত্ত আছে তা কৃষিমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, সব ফসলই বাড়তি ফলন হচ্ছে। তাই ফণীর ক্ষতি বাজারে তেমন প্রভাব ফেলবে না। চাল রপ্তানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো, তবে এক্ষেত্রে খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি তথ্য জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ৩৫টি জেলার ২০৯ টি উপজেলায় বোরো ধান, ভূট্টা,পাট, পান ফসলে প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি আংশিক আক্রান্ত হয়েছে। ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর, পান ৭৩৫ হেক্টর।
কৃষিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই পরিমান চাল রপ্তানিতে সক্ষম হলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সাথে সাথে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ তারিখে আসন্ন বোরো ২০১৯ সংগ্রহ উপলক্ষে ‘ফুড প্লানিং এ্যান্ড মনিটরিং কমিটির (এফপিএমসি ) সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছিলেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ধান ও গম ক্রয় করবে সরকার। প্রতি কেজি ধান ২৬, সিদ্ধ চাল ৩৬, আতপ চাল ৩৫ ও গম ২৮ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে।