ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
মেয়াদোত্তীর্ণ ৭২৬টি ভিএসপি (ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার) লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত।’
২০১৩ সালের ২৫ মার্চ ৮৪০টি এবং একই বছরের ২৯ আগস্ট ৪১টিসহ ৮৮১টি প্রতিষ্ঠানকে ভিএসপি লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি। এর আগে ২০১২ সালের ২২ জুলাই ভিএসপি গাইডলাইন জারি করা হয়।
জানা যায়, ২০২০-২০২২ মেয়াদে লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ না করায় ২১৭টি, একই মেয়াদে নবায়নের জন্য আবেদন না করায় ১৪৫টি এবং নবায়নের জন্য অনুমোদন না পাওয়া ৩৬৪টিসহ ৭২৬টি ভিএসপি লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি লাইসেন্স বিটিআরসিতে সমর্পণ করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা বিভিন্ন কারণে প্রতিষ্ঠান চালাতে ব্যর্থ হয়ে লাইসেন্স সমর্পণ করায় তা বাতিলের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে এরই মধ্যে ৫০৯টি প্রতিষ্ঠানের অপারেশনাল কার্যক্রম ইতোপূর্বে বাতিল করা হয়েছে।
দেশে বিদেশ থেকে আসা কল আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় বৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) অপারেটরগুলোর কল কমতে থাকে। যদিও ভিএসপি অপারেটরকে কল আনতে আইজিডব্লিউ’র (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) ওপর নির্ভর করতে হয়। বিদেশ থেকে আসা কলগুলো আইজিডব্লিউ অপারেটর থেকে ভিএসপি অপারেটর হয়ে তারপর গ্রাহকের ফোনে পৌঁছায়। যেসব ভিএসপি অপারেটর আইজিডব্লিউ থেকে বেশি বেশি কল নিয়ে আসতে পারতো সেগুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান টিকে আছে। অন্যগুলো কল না পেয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে টিকতে না পেরে ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়নেরও সক্ষমতা হারিয়েছে এবং লাইসেন্স ফি কমানোর জন্য আবেদন করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।