ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকায়। যদিও বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি-রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও আয়কর আদায় খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই তিন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এনবিআরকে আদায় করতে হতো দুই লাখ ৪৫ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আহরণের গড় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত পাঁচ বছর রাজস্ব আহরণের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের নয় মাসে দুই লাখ আট হাজার ২৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আমদানি-রপ্তানি খাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে আদায় হয়েছে ৬৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। ফলে নয় মাসে এখাতে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। মাস হিসেবে গত মার্চে কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।
আয়করে নয় মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৭১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়করে নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের নয় মাসে মূসক (মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এ খাতে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এ হিসাবে নয় মাসে ভ্যাট আদায়ে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আট হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।