ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বীমা ব্যবসা ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বীমা ব্যবসা করতে হলে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে থাকতে হবে। যা ৩৪ ব্যাংকের নেই।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সম্পর্কিত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসা করতে হলে ব্যাংকের অবশ্যই ঝুঁকিবারিত সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের অনুপাত বা ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট রেশিও (সিআরএআর) সাড়ে ১২ শতাংশ থাকতে হবে। ব্যাসেলু-৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ক্রেডিট রেটিং গ্রেড-২ এর কম হলে বীমা ব্যবসা করতে পারবে না। মোট বিতরণ করা ঋণের ৫ শতাংশের বেশি খেলাপি হলে ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবসায় অযোগ্য হবে। আর কোনো ব্যাংকে বীমা ব্যবসার জন্য আগ্রহী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দক্ষ ও উপযুক্ত জনবলের প্রত্যয়ন থাকতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে ৬১টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৩৪টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি। যেসব ব্যাংক ভালো ও বড় ব্যাংক হিসাবে গ্রাহকদের মধ্যে স্বীকৃতি রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ শতাংশের কম নেই। বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের গড় হার ৭ শতাংশের মধ্যে। এর মধ্যে পড়ে যাবে বড় সবগুলো ব্যাংক। এসব ব্যাংক বীমার কর্পোরেট গ্রাহক থেকে বাদ পড়বে। তবে শর্ত অনুযায়ী, শরিয়াভিত্তিক মোট ১০ ব্যাংকের মধ্যে সাতটি এবং বিদেশি নয়টি ব্যাংকের মধ্যে সাতটি ব্যাংকাস্যুরেন্স হওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত।
ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স প্রবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৭(১)(ল) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে সব তফসিলি ব্যাংক বীমা কোম্পানির ‘করপোরেট এজেন্ট’ হিসেবে বীমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় ব্যবসা ১২ ডিসেম্বর থেকে করতে পারবে।
ব্যাংকাস্যুরেন্স অর্থ ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ব্যাংক তার গ্রাহকদের কাছে বীমা পণ্য বিপণন ও বিক্রয় করতে পারবে। এ জন্য অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে করপোরেট এজেন্ট লাইসেন্স নিতে হবে।