ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: টানা ২৩ দিন সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সিলেট কমিশনারেট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে সিলেটের সব স্থলবন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে সরকারের নতুন নির্ধারিত অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু সাড়ে ১৩ ডলার থেকে ৭৫ সেন্ট কমানোর পর ব্যবসায়ীরা পুনরায় আমদানি করতে রাজি হন।
সিলেট নগরীর উপশহরস্থ কাস্টমস অফিস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাবেক সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, সিলেট জেলা পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. আতিক হোসেন, অর্থ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী, তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন ছেদু, ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক গ্র গ্রুপের সহ সভাপতি মো. বশির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মিন্টু, ছাতক লাইমস্টোন ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স গ্রুপের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক আহমেদ শাখায়াত সেলিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অরুন দাস, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের মনমোহন পাল মতিশ, সুনীল পাল চৌধুরী, মো. খসরুল আলম, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, শাহীন চৌধুরী, সিলেট জেলা পাথর আমদানিকারক গ্রুপের কার্যকরী সদস্য মো. শাহ আলম, শাহীন আহমদ, আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির ওপর যে হারে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বাড়ানো হয়েছিল তাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন এবং আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারও ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতির শিকার হয়।
সিলেটে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ০৭ জানুয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।