দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক পরিবেশ রাখতে চেষ্টা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর নির্ভর। উৎপাদন ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে দ্রব্যমূল্য কমে আসবে। ফলে এ রিলেটেড যত বিষয় রয়েছে সেগুলোতে যাতে সহায়ক পরিবেশ থাকে সেই চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কি পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর নির্ভর। উৎপাদন ভালো হলে সরবরাহ বাড়বে দ্রব্যমূল্য কমে আসবে। এটার সঙ্গে বাণিজ্যের সম্পর্ক আছে। এ রিলেটেড যত বিষয় রয়েছে সেগুলো যাতে সহায়ক পরিবেশ থাকে সেই চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, আমদানিসহ ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সজাগ আছি। আমাদের সহকর্মী যারা আছেন তারা কাজ করছেন।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি প্রথম দিনই বলেছি, সে দিন গভর্নর ছিলেন তিনিও জানেন দ্রব্যমূল্য কেন বেড়েছে। মূলত এক্সচেঞ্জ রেটসহ বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে।

আমদানি নির্ভর পণ্য নিয়ে কি ভাবছেন জানতে চাইলে বলেন, আমরা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানির যে মূল্যস্ফীতি সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। যতটুকু সম্ভব আমাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে। যাতে বাজার, ভোক্তা ও সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। আর এখন যে চাপটা রয়েছে সেটাও যাতে কমে আসে সেই চেষ্টা থাকবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য সবচেয়ে বড় বিষয়, দেশের ও বিদেশের বাণিজ্য। খুব সম্ভব দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ থাকে, কোনো রকমের দুর্নীতি না হয়, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাণিজ্য ও দোকানের একটি সম্পর্ক রয়েছে, এসব বিষয় যেন দূরীভূত হয়। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলোর মধ্যে শুধু খাদ্যদ্রব্য নয় বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি যত দ্রুত পারি করবো। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত সব সংস্থার সঙ্গে বসবো। কারণ তাদের সহযোগিতা লাগবে, আপনারা নিশ্চিত থাকেন যত দ্রুত সম্ভব আমরা পদক্ষেপ নেবো।

এডিবির সঙ্গে বৈঠকে কি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক ও এডিবির যতগুলো প্রকল্প আছে সেগুলোর মধ্যে যৌক্তিক যেগুলো আছে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করিনি, তারা বলেছে আপনারা যদি বলেন তাহলে কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। এছাড়া ভবিষ্যতে পাইপলাইনে যে প্রকল্পগুলো আছে, সেসব বিষয়ে আমরা সহায়তা করবো যদি আপনারা চান। তারা খুব পজিটিভ। এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে।

রিজার্ভ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রিজার্ভ নিয়ে কথা বলার জন্য গভর্নর আছেন। আমরা বেশি গভীরে যাইনি। তারা এবং আইএমএফ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবে। আমরা অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবো।

এলডিসি গ্রাজুয়েশন বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বড় একটা বিষয়। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের অনেকগুলো শর্ত আছে সেসব বিষয় আমাদের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় না এর সঙ্গে এনবিআরসহ অন্যান্যদেরও সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।

আজকে আপনার পেছনে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সরকারি চাকরি করেন তারা রেশনিং চাচ্ছেন তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে সরকারি, বেসরকারি সাধারণ মানুষ সবাই সমান। প্রত্যেকে যেন একটা সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। আমি সে দিন চাল, ডাল, ডিমসহ পাঁচ খাদ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা সজাগ, এগুলো আমরা করবো। এটা যেন সমান হারে সরকারি-বেসরকারি সবাই পায় সেটা নিশ্চিত করবো।