ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি বছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (এক দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি।
এটি আগের মাস জুনের তুলনায় ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কম। জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আর সদ্য বিদায়ী জুলাই মাস বা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে এসেছে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় কমেছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসা প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার এসেছিল। টানা পাঁচ মাস দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে আর যেতে পারেনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসে ১৫৪ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার আসে। মার্চ এসেছিল ২০২ কোটি ২৪ লাখ ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ এবং মে মাসে ১৬৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। সবশেষ ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জুন মাসে রেমিট্যান্স আসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।