ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলারে ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।
হিসাব বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৪ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস থেকে প্রায় ১৬ কোটি ডলার কম। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ হবে জুলাই মাসের চেয়ে অন্তত ৫০ কোটি ডলার কম। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জুন মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কম হবে প্রায় ৭৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসের ২২ দিনে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে এসেছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
তবে আলোচিত সময়ে ৭ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (এক ডলার সমান ১০৮.৫০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার বেশি। এটি ছিল আগের মাস জুনের তুলনায় ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কম।
জুন মাসে রেকর্ড ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যেটি ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।