ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নতুন বছরে জানুয়ারিতে এসে রপ্তানি আয় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এক মাসেই রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারকে স্পর্শ করেছে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকে রপ্তানি বেড়ে গেছে। ফলে পুরো রপ্তানিতেও এর ছাপ পড়েছে।
রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হাল নাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বা ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি নতুন বছরের জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৪৪২ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক। বা ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের।
আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ৩২ লাখ মার্কিন ডলার। বা ২৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সময়ে দেশের মোট রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। বা ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আগের মাস ডিসেম্বরে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি নেমেছিল এক শতাংশের নিচে। আর তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকেছিল এক দশমিক ৭২ শতাংশে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ-উত্তর আমেরিকা মন্দার কবলে পড়ে। এসব দেশে মূল্যস্ফীতির নাগাল ছাড়া। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবস্থা নিয়ে এগুলো কাজে লেগেছে। ফলে মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে; প্রতিফলন ঘটে তাদের কেনা কাটায়। তবে পুরো বছরে এ ধারা অব্যাহত থাকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে মন্দার খবরের মধ্যে আমরা মূল যে কারণে একটু ভালো করতে পারছি, তা হলো আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে অর্জিত দক্ষতা এবং পোশাকের বাজার ও পণ্যের বহুমুখী করার চেষ্টার কারণে। আগামীতে এর চেয়ে ভালো না করতে পারলেও মোটামুটি একটি ভালো অবস্থা ধরে রাখা যাবে। বৈশ্বিক অবস্থার যদি উন্নতি হয় তাহলে আমরা ভালো করব। এবং অন্য যে কারো চেয়ে ভালো করব।
ইপিবি তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪৮ মিলিয়ন ডলারের; নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৭২ মিলিয়ন ডলারের; প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬২৮ মিলিয়ন ডলারের; নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এক সময়ের সোনালী আঁশের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৭ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ৫১০ মিলিয়ন ডলার।