ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আমদানি করা অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতিটি টনে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এবং পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতি টনে তিন হাজার টাকা আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক দিতে হবে এক হাজার ৫০০ টাকা। আর পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক দিতে হবে তিন হাজার টাকা।
আগে অপরিশোধিত চিনি আমদানির ক্ষেত্রে টন প্রতি আমদানি শুল্ক দিতে হতো তিন হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে টন প্রতি আমদানি শুল্ক ছিল ছয় হাজার টাকা। অর্থাৎ উভয় ধরনের চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
শুল্ক কমানোর এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এনবিআর’র প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চিনির আমদানি শুল্ক ছাড়ের এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
আমদানি শুল্কের পাশাপাশি চিনিতে নিয়ন্ত্রণ মূলক শুল্ক রয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া আমদানিকারকদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। সেই সঙ্গে অগ্রিম আয়কর দিতে হয় ২ শতাংশ।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এক বছর আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা।