সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। তবে এ দিন উভয় বাজারেই লেনদেন বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১০৭ ও ১৮২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭৩ কোটি টাকা বেশি।
আগের দিন ডিএসইতে ৩৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৪টি কোম্পানির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, প্রগতি লাইফ, রূপালি লাইফ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, লাভেলো আইসক্রিম, সী পার্ল, সেন্ট্রাল ফার্মা ও ইজেনারেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বৃহস্পতিবার ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৫৪৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
বৃহস্পতিবার সিএসইতে ১১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৫ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।