ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮৯ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার ও একই দিনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণের ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার পর রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই দুই সংস্থার ঋণ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। আর খরচ করার মতো রিজার্ভ অর্থাৎ (বিপিএম৬) ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইএমএফ চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। অর্থনীতির সংকট মোকাবিলায় এ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুন ভিত্তিক বিভিন্ন সূচকে শর্ত পালনের অগ্রগতি দেখতে গত ০৪ অক্টোবর আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে। মিশনের নেতৃত্ব দেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। অবশেষে সেই ঋণ যোগ হলো।
মেজবাউল হক বলেন, পাঁচ ব্যাংকের তারল্য সমস্যা নিয়ে যেসব কথা, তা সঠিক নয়। পাঁচ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে তারল্যের ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।