ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গুণগত মান যাচাই ছাড়াই ঢালাও ভাবে ঋণ বিতরণে এক বছরের জন্য বাড়তি সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহকের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিসিআরআর) যাচাইয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শিথিলতা চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ নির্দেশনার ফলে এখন থেকে কোনো অযোগ্য, ভুঁইফোড় এবং খারাপ গ্রাহকের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। ব্যাংকগুলোকে ঋণ যাচাইয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকের ঋণ বিতরণে ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং বা আইসিসিআরআর নীতিমালা অনুযায়ী একজন গ্রাহকের পরিমাণগত সক্ষমতায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং গুণগত সক্ষমতায় ৪০ শতাংশ নম্বর থাকবে। আর পরিমাণগত সক্ষমতা সূচকের ৬০ নম্বরের মধ্যে মোট গৃহীত ঋণ ও আর্থিক সক্ষমতায় ১০, চলতি দায় ও তরল সম্পদে ১০, মুনাফার সক্ষমতায় ১০, সুদ পরিশোধের সক্ষমতা ও নগদ প্রবাহের ওপর ১৫, পরিচালনগত দক্ষতায় ১০ এবং ব্যবসার মানের ওপর পাঁচ নম্বর থাকতে হবে।
এ রেটিংয়ে গ্রাহক ৮০-এর বেশি নম্বর পেলে তাকে চমৎকার, ৭০-এর বেশি এবং ৮০-এর কম নম্বর পেলে ভালো, ৬০-এর বেশি এবং ৭০-এর কম পেলে প্রান্তিক এবং ৬০ এর নিচে নম্বর পেলে অগ্রহণযোগ্য রেটিং দেওয়া হবে। তবে কোনো গ্রাহক গুণগত রেটিংয়ে যত নম্বরই পাক না কেন, পরিমাণগত রেটিংয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর না পেলে তাকে অগ্রহণযোগ্য রেটিং দেওয়া হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নীতিমালার এ অধ্যায়ে শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ‘দেশব্যাপী ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের বিদ্যমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিদ্যমান ঋণ নবায়ন অব্যাহত রাখার নিমিত্তে জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে যথাযথ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
জানা গেছে, দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনক। এর পরিপেক্ষিত গত ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ঋণের ঝুঁকি পরিমাপের নতুন নীতিমালা উদ্বোধন করেন গভর্নর ফজলে কবির। ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নামের এ নীতিমালায় ঋণের পরিমাণ ও গুণগত উভয় ধরনের সক্ষমতার মূল্যায়ন শর্ত রাখা হয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী- এ শর্তগুলো পূরণ না করেও ঋণ পাবেন একজন গ্রাহক।