ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বিদ্যমান নীতি সুদহার (পলিসি রেট) শতকরা ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে সোমবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে নীতি সুদহার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর দায়িত্বে আসার পর দ্বিতীয়বারে মতো নীতি সুদহার বাড়ানো হলো। এর আগে সাড়ে ৮ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, নীতি সুদহার চলতি সপ্তাহে বাড়ানো হবে। এরপর আগামী মাসে আরও কিছুটা বৃদ্ধি করা হবে। এখন নীতি সুদহার ৯ শতাংশে রয়েছে। গত বছরের মার্চ থেকে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে মিল রেখে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।
নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ওভারনাইট রেপাে নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এছাড়া, ব্যাংকসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার শতকরা ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১১ শতাংশ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপােজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃ্দ্ধি করে ৮ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর হবে।
বিবিএস’র তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়ানোর পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়। এটি ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ।
বিগত সরকার গত অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল দেশে।