ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এক সপ্তাহে রিজার্ভ আরও কমলো ৩৫ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বর্তমানে বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৪৬৬ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
গত ২৩ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৫০২ কোটি ১৩ লাখ ৭০ ডলার। তবে নেট রিজার্ভের হিসেবে তারতম্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নেট রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার (বিপিএস৬) বা এক হাজার ৯১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এক সপ্তাহ আগে নেট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬) বা এক হাজার ৯৪০ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এক সপ্তাহে নেট রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এ হিসেবে গ্রস ও নেট রিজার্ভের মধ্যে তারতম্য রয়েছে; যে হারে নেট রিজার্ভ কমেছে তার চেয়ে বেশি কমেছে গ্রস রিজার্ভ।
বাংলাদেশ সাধারণত রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিলসহ রিজার্ভের হিসেব করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসাব দেখানো শুরু করে।
সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রিজার্ভ গণনায় বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়। অবশিষ্ট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভকে নেট বলা হচ্ছে। পাশাপাশি মোট রিজার্ভও দেখানো হয়।