ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খাদ্যপণ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
এর আগের দিন রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল। ডলার সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা বিক্রি করায় রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০২১ সালের অগাস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনের পাশাপাশি ডলারের দরও বেড়েছে অনেক। ২০২১ সাল নাগাদ আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রতি ডলারের জন্য ১২২-১২৩ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এরপরও কাঙ্খিত ডলার না পেয়ে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না।
পরিস্থিতির উন্নতি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই ব্যাংক ঋণের সুদহার ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সরকারি ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের নেয়া ঋণের সুদহারও বাড়ছে। গত জুলাই থেকে সরকারের ঋণের সুদহারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সাধারণ গ্রাহককে দেয়া ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রভাব দেখা গেল ফেব্রুয়ারির শুরুতেই।