ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আন্তঃব্যাংক বা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ দর ১০৯ টাকা উঠেছে বুধবার (১৪ জুন)।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার সর্বোচ্চ পতনের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত মে মাসে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম উঠেছিল ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা। আর এক বছর আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। এর অর্থ হলো এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ১৬ টাকা ২০ পয়সা।
আমদানি-রপ্তানিকারকরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার পতন হওয়ার পেছনের কারণ হলো, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া। কিন্তু এর বিপরীতে রপ্তানি আয় এবং প্রবাসী আয় তেমন বৃদ্ধি পায়নি। যে কারণে ডলারের ঘাটতি থেকে যায়।
করোনা মহামারি অবস্থার উন্নতি হলে দেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়ে যায়। একই সময়ে প্রবাসী আয় কমতে থাকে। এতে টান পড়ে ডলারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে।
এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠালে প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। সরকারের ২ টাকা ৫০ পয়সা প্রণোদনাসহ ১ ডলারের বিপরীতে প্রবাসীরা পাচ্ছেন ১১১ টাকা। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাচ্ছেন ১০৭ টাকা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেট নগদ এক ডলার বিক্রি করেছে ১১১ টাকা ৭০ পয়সায়। আর ডলার কিনেছে ১১১ টাকা ৩০ পয়সা দামে।