ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ব্রাজিল সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আমরা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমেরিকার মার্কেটে ঢুকি, সেটি কমানোর ক্ষেত্রে তাদের রেসপন্স কী- এমন প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ব্রাজিলও একটি গ্রোয়িং ইকোনমি (উদীয়মান অর্থনীতির দেশ)। তারাও নিজেদের শিল্পকে সুরক্ষা দিতে পোশাকখাত কিছু বিধিনিষেধ রেখেছে। শুধুমাত্র তারা বাংলাদেশ ও চীন থেকে তৈরি পোশাক নেয়। বাকিটা তারা নিজেরা তৈরির চেষ্টা করে। তারা যে কথা দিয়েছে সেটি হলো শুধুমাত্র ব্রাজিল নয় আমাদের গার্মেন্টসের এক্সপোর্টটা পুরো রিজনের জন্য যেন হয়। আমাদের টার্গেট শুধু ব্রাজিল নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্য দেশগুলোও ব্রাজিলকে কেন্দ্র করে এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত এটা ব্রাজিল থেকে ফরেন মিনিস্ট্রি লেভেলে প্রথম ভিজিট। আমাদের স্বাধীনতার ৫২ বছরে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আসলেন। তারা ট্রেড এবং কমার্সকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি ইনিশিয়াল ডিসকাশন হলো। তারা একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে এসেছে। ওই টিমের সঙ্গে আমাদের এফবিসিসিআইয়ের টিমের সোমবার সাড়ে তিনটায় মতবিনিময় হবে। সেখানে আরও দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হবে। মূলত আলোচনা করেছি যে আমাদের দেশ থেকে গার্মেন্টসের ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেসটা চাই। ওদের থেকে যে কটনটা আমরা নিয়ে আসছি সেই কটনের তৈরি পোশাক যেন আমরা ডিউটি ফ্রি বা কোটা ফ্রি অ্যাকসেস পাই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেট যেন সহজেই ওই দেশে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে সেখানে এক্সপোর্ট করতে পারে। সেই সঙ্গে জুট, লেদার গুডস কীভাবে মার্কেট অ্যাকসেস হয় সেগুলো নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে ছিলো।’
আমাদের ওষুধশিল্প নিয়ে ব্রাজিলের আগ্রহ আছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ওষুধ নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছে তাদের পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নেই, তাদের কিছু লাইসেন্সিং প্রসেস আছে। আন্তর্জাতিক রেজিস্ট্রেশন আছে।’