ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘বর্তমানে এক কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পাচ্ছেন। আগামী জুলাই থেকে তাদেরকে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল দেওয়া হবে। খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলাররা তাদের এই চাল সরবরাহ করবেন।’
রোববার সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান ২০২৩ এর অগ্রগতি, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ ও সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্তত এক কোটি পরিবার এই পাঁচ কেজি চাল পাবেন। সারা বছরই পাবেন। পাশাপাশি আমাদের ওএমএস চলতে থাকবে। আমরা ওএমএসের ডিজিটাল কার্ড তৈরি করছি।’
পাঁচ কেজি চাল কীভাবে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টিসিবির জিনিস যখন পাবেন, তখন একই প্যাকেটে তাদের এই চাল দেওয়া হবে। আমাদের কাছে আসতে হবে না, ওএমএস ডিলাররা তাদের এটি দেবে। অর্থাৎ টিসিবিতে আরেকটি পণ্য হিসেবে এই চাল যুক্ত হয়েছে। এক কোটি পরিবারের যাদের কার্ড আছে, যখনই তারা টিসিবির মাল পাবেন, তখনই তারা এই পাঁচ কেজি চালও পাবেন।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চালের দাম যখন একটু বাড়তির দিকে থাকে, তখন সারাদেশে প্রায় দুই হাজার ৫০০ ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম চালিয়েছি। শুধু বিতরণই না, বাজেটে যা ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরা তার চেয়েও বেশি মানুষের কাছে বিতরণ করেছি। অতিরিক্ত দুই লাখ মেট্রিক টন ওএমএস বিতরণ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘৫০ লাখ পরিবারকে যে নিয়মিত পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব সহায়তা দেওয়ার, তা দিয়েছি। তারা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। আমরা করোনাকালীন পাঁচ মাসের জায়গায় আরও এক মাস বাড়িয়ে বিতরণ করেছি। শুধু তা-ই না, করোনার সময় বিশেষ খাদ্যবাবন্ধব কর্মসূচিতে প্রতি জেলায় ১০ টাকা করে কেজি চাল তালিকা ধরে বিতরণ করা হয়েছে। এখন এই সহায়তার এনআইডিভিত্তিক ডিজিটাল কার্ড তৈরি করা হয়েছে।