ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বের তুলনায় গত কয়েকদিনে ভারত থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একদিকে যেমন বন্দর অভ্যন্তরে কর্মচাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিগত অর্থবছরগুলোতে রাজস্ব আদায়ে ধস নামলেও চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে খাদ্যপণ্য, মসলা জাতীয় পণ্য ও পাথর আমদানি হয়ে থাকে। করোনার পর থেকেই নানামুখী সংকটের কারণে পণ্য আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। যেখানে প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এ বন্দরে প্রবেশ করতো সেখানে করোনার পর থেকে শুধুমাত্র ৮০ থেকে ১০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। ফলে রাজস্ব আদায়ে ধস নামে। কিন্তু গত কয়েদিন থেকে আবারও আমদানিকৃত গাড়ি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ গাড়ি।
হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক রেজাউল ইসলাম জানান, করোনার পর ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় কাজও কমে যায়। ফলে অলস সময় কাটছিল। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের আয়-রোজগারও কমে যায়। কিন্ত গত কয়েকদিন থেকে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিনের আয়ও বেড়েছে।
আরেক শ্রমিক মতিউর রহমান জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশী আয় হতো না। এখন ভারত থেকে গাড়ি বেশি আসায় প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, বর্তমানে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে বন্দরের শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়-রোজগারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলি কাষ্টমসের তথ্যমতে, গত দুই কর্ম দিবসে ২৯৬টি ভারতীয় ট্রাকে নয় হাজার ২৯৮ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে।