মূল্যসূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: শেয়ারবাজারে সবকটি মূল্যসূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে এ বাজারেও সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। দরপতনের পরও ডিএসই’র মতো সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে কিছু সময়ের জন্য সূচকটি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান।

তবে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ানোর কারণে আবার পতনের ধারায় ফিরে যায় বাজার। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ পতনের ধারা অব্যাহত থাকে। এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়েছে, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৫৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৯২ কোটি ২১ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে অলিম্পিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ৩২ কোটি ৩৮ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া, ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, এমজেএল বাংলাদেশ, এনসিসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনআরবি ব্যাংক এবং রবি।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫১টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।