সম্পাদকীয়: পৃথিবী গত চার মাস ধরে গৃহবন্দিই বলা যায়। কলকারখানা একপ্রকার বন্ধ, গাড়ির কালো ধোঁয়া, ইটভাটা সহ পরিবেশের ওপর চালানো মানুষর সমস্ত নির্যাতন বন্ধ। এই সুযোগে প্রকৃতি যেন তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পানি, বায়ু, মাটি দূষণ কমে প্রকৃতি তার সতেজতা নিয়ে জেগে ওঠেছে। করোনা বিপর্যয়ে থমকে যাওয়া বিশ্বের একমাত্র আশার কথা জেগে ওঠা প্রকৃতি। আর এই প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
১৯৭৪ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার করোনার কারণে ব্যাপক পরিসরে দিবসটি পালিত না হলেও ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হয়েছে। এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “টাইম ফর নেচার” বা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এখনই সময়।
এবার পরিবেশ দিবসের আয়োজক দেশ কলম্বিয়া। তারা পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জার্মানির সহযোগিতায়।
আয়োজক কলম্বিয়া বলছে, এখন তাদের দেশে প্রায় ১০ লাখ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় আর আসেনি।
বাংলাদেশকেও এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে পরিবেশ সংরক্ষণে। উন্নয়নের নামে গাছপালা নিধন, নদী, খালবিল ভরাট, যানবাহন, ইট ভাটা আর কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে। পরিবেশ আইনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, লকডাউনের কারণে যানবাহন কম, ইট ভাটা বন্ধ, কনস্ট্রাকশন কাজ বন্ধ থাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা অনেক কমে গেছে। তবে এখন আবার সব খুলতে শুরু করেছে। ফলে কী কী কারণে দূষণ হয় তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সরকারের উচিত এখন এসব বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া।