সম্পাদকীয়: কেউ যদি কিছু পরিমমাণ অর্থ, পণ্য বা পরিষেবা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসটি প্রদান করেন, তিনিই ভোক্তা। এবং সেই পণ্য অথবা পরিষেবাটি হতে হবে দীর্ঘমেয়াদী।
আর রাষ্ট্রের সাথে ভোক্তার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ একটি রাষ্ট্রের কাছে তার নাগরিক হচ্ছে ভোক্তা। কারণ নাগরিক তার রাষ্ট্রকে তার প্রয়োজনীয় অর্থ ট্যাক্স হিসেবে দেয়। এবং এর পরিবর্তে রাষ্ট্র তাকে তার মৌলিক চাহিদা এবং মুক্ত বাজারের লাগাম ধরে বুর্জোয়াদের হাত থেকে সুরক্ষা করবে।
যদি এর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো ঘাটতি দেখা যায় তাহলে রাষ্ট্র তার ভোক্তাদের সেবা দিতে ব্যর্থ প্রমাণিত হবে। এইক্ষেত্রে, ভোক্তার উচিৎ তার সাথে সু-বিচার না করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে নিজে সচেতন হওয়া এবং অপরকে সচেতন করা।
আর একইভাবে কোনো দোকান কিংবা ব্যাংক এর সকল গ্রাহক হলো ভোক্তা। যদি তাদেরকে কোনো সেবা প্রদানে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয় তাহলে ভোক্তার উচিৎ তার বা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া। এর জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকারের জন্য আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। এখানে কোনো ভোক্তা তার সাথে প্রতারণার অভিযোগটি করতে পারবে। কিন্তু আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ বা ভোক্তা এই ব্যাপারে সচেতন না। যার কারণে তার অজান্তেই আরেকজন ভোক্তা বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
যদি কোনো দোকানদার কোনো ক্রেতা কে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার পণ্য দেয় আর ক্রেতা তা বুঝে পণ্যটি ফেরত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায়,তাহলে ওই দোকানী বা বিক্রেতা একই পণ্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিলো। আর এই মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার পণ্যটি খেয়ে একটি শিশু অসুস্থ্য হলে এর দায় তখন রাষ্ট্রের সাথে সাথে খোদ ভোক্তার উপরও বর্তায়। এই কারণে ভোক্তার সচেতনতা বৃদ্ধির খুব প্রয়োজন কারণ তার এর সাথে জড়িয়ে আছে তার নিজের এবং পাশের জনের ভবিষ্যৎ। তাই একজন ভোক্তা হিসেবে তার অধিকার আদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাটা খুব বেশী দরকার এবং দায়িত্ব।