এস এম নাজের হোসাইন: পঞ্চমবারের মতো ও টানা চতুর্থ মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে দেশের আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান মন্ত্রিসভা ও জাতীয় সংসদের সদস্যরা সরকারের রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করা, দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনিক কাঠামোয় সংস্কার আনতে সক্ষম হবেন।
দেশের মানুষ নাগরিক হিসেবে যোগ্য সম্মান পাবে, একইসঙ্গে নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে ভোক্তা-অধিকার (সুশিক্ষা, সুচিকিৎসা, নিরাপদ খাদ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা, বস্ত্র, নিরাপদ আবাসন, নিরাপদ সড়ক যাতায়াত, আইসিটি, ব্যাংকিং ও আর্থিক অধিকার) সুরক্ষিত হবে। নাগরিকের মুক্তচিন্তা ও মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।
জাতির পিতার কন্যা হিসেবে এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রদানের কারণে দেশের মানুষ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে- শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশের শাসনতান্ত্রিক, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ অনেক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ক্যাব) ব্যবসা ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট অনেকেই ভোক্তাস্বার্থ সুরক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিভাগ কিংবা একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ ঐতিহাসিক ভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও কাজ হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়া। দেশে শিল্প-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানির যারা চালিকাশক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম অংশীজন ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ সৃষ্টি হতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমামত সিন্ডিকেট, অতিমুনাফায় মরিয়া ও অসুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের কারণে বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কীভাবে ঠকানো যায়, সেটাই মুখ্য বিষয় হয়ে যায়, সেখানে একটা স্বার্থের বড় সংঘাত থাকে। প্রশাসনিক বিন্যাসের বেলায় আমরা যদি উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলেও একটি মৌলিক ভিন্নতা লক্ষ করি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত উত্তরাধিকার বহন করে চলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকে নয়, পাকিস্তানকেই বেশি অনুসরণ করেছে। স্বাধীনতার পরে পাকিস্তানি আমলাতান্ত্রিক কাঠামোকে পুরোপুরি গ্রহণ করে যাবতীয় প্রশাসনিক বিন্যাস ও কাঠামো পুনর্গঠন করা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পাকিস্তানি কাঠামোর বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভবে নিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে সেটি আমরা অনেক ক্ষেত্রে আজও করে দেখাতে পারিনি। ক্যাব ভোক্তাসংক্রান্ত পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি তুলে আমাদের অতীত ইতিহাসের দিকে তাকানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে।
দেশের ১৮ কোটি মানুষই ক্রেতা-ভোক্তা হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোনো পৃথক মন্ত্রণালয় নেই। ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও এটিও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। আর ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের জন্য সবকিছুর ভার দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের ওপর। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তাস্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার কারণে ভোক্তাস্বার্থ বারবার উপেক্ষিত ও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। বিষয়গুলো অনেকটাই বিড়ালকে মাছ পাহারা দেওয়ার মতো।
ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার সয়াবিন তেল- এভাবে বছরজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণের পকেট কেটেই যাচ্ছে। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ হলো দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ। সে কারণে দেশের ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরূপণ, উৎপাদন, জোগান, বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় ও সুযোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের থাকে না।
এদিকে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলেও জেলা পর্যায়ে একজন কর্মকর্তা দিয়ে কোনো প্রকার লজিস্টিক সুবিধা ছাড়াই তারা কাজ করছে। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খোদ রাজধানী ঢাকা শহরে তার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। যদিও সরকার ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, নিরাপদ খাদ্য আইনসহ নানা উদ্যোগ নিলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও ভোক্তাদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে আইন প্রয়োগে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনো ভাবেই সম্ভব হবে না।
দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় না থাকায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী মহল, প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সব মহলের কাছে ভোক্তাদের মনোবেদনা, ভোগান্তি জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা ভোক্তাদের কথা শোনার চেয়ে ব্যবসায়ীদের কথা শুনতে আগ্রহী। কারণ ভোক্তারা অসংগঠিত, তাদের সংগঠন শক্তিশালী নয়। আর ব্যবসায়ীদের কথা শুনলে তার বিপরীতে প্রতিদান দেওয়ার সক্ষমতাও তাদের আছে। ফলে ভোক্তাদের হয়রানি, ভোগান্তির চেয়ে ব্যবসায়ীদের সমস্যাগুলোয় সরকার যে রকম গুরুত্ব দিচ্ছে, তেমনই গণমাধ্যমগুলোতেও বেশি করে প্রচারিত হচ্ছে। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত পেঁয়াজের মূল্যের সেঞ্চুরি। গণমাধ্যম ও প্রশাসন ব্যবসায়ী তোষণনীতির কারণে ২০ টাকার পেঁয়াজ অনেক সময় আড়াইশ টাকায় ভোক্তা কিনতে বাধ্য হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আলু-পেঁয়াজ মজুত করে দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটলেও সরকার জনগণের কষ্ট লাঘবে কোনো কার্যকর ব্যবস্থ নিতে সক্ষম হয়নি।
দেশে বর্তমানে ভোক্তাদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলো ১৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দেখে থাকে। নতুন মন্ত্রণালয় হলে তারা সবার সঙ্গে সমন্বয়সাধনের কাজটা অনেক ভালোভাবে করতে পারবেন। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলমন্ত্র হলো সবার আগে নাগরিক ও জনস্বার্থের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা। যখন বিষয়গুলো বিপন্ন ও ক্ষুণ্ন হতে পারে, তখন নতুন নতুন কৌশল ও পন্থা উদ্ভাবন করাটাই সমীচীন। এবারের পেঁয়াজ বলেই নয়, অতীতের সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-ভোগ্যপণ্যের সংকট মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ এবং তার ফলাফল বিবেচনায় নিলে একটি বিষয় পরিষ্কার।
তবে অধিকাংশ সময়ই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখাতে সমর্থ হয়নি। চড়া মাশুলটা সব সময় ভোক্তারাই দিয়েছে। সরকার যথাসময়ে সরাসরি খাদ্যপণ্য আমদানি করতে কেন সমর্থ হয়নি। আবার রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা টিসিবিকে সংকটকালীন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। কারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ কাজের তালিকায় ভোক্তাস্বার্থ অত বেশি অগ্রাধিকারে না থাকাটাই মূল অন্তরায়। এছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ৩১টি চিহ্নিত কাজের মধ্যে ভোক্তা নামে কোনো শব্দই সেখানে নেই। প্রাইস অ্যাডভাইজিং বোর্ডস এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ নামে দুটি দফা থাকলেও মানুষ কখনো এসবের ‘দাঁত’ দেখেনি। ভারতের ভোক্তা মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও দুটি বিভাগ আছে। তাদের অ্যালোকেশন অব বিজনেসে ভোক্তা স্বার্থবিষয়ক ৩৫টি বিষয় আলাদা ভাবে চিহ্নিত আছে।
দেশের ‘ভোক্তারা’ সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক জনগোষ্ঠী হলেও সরকারের প্রতিনিয়ত নানা বিষয়ে নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ একেবারেই নগণ্য। ভোক্তারা সুসংগঠিত নয় এবং তাদের সংগঠন শক্তিশালী না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, সে বিবেচনায় উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে বার বার। এ অবস্থায় ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনা, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের বিষয়টি তুলে ধরা, ভোক্তা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন, চাহিদা, উৎপাদন, আমদানির সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণ; সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল থেকে দরিদ্র, স্বল্প আয় ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের ভোক্তারা যাতে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ২০টি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও পণ্য চিহ্নিত করে সেসব খাদ্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার দায়িত্ব অর্পণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক ডিভিশন অথবা একটি পৃথক-স্বতন্ত্র একটি ‘ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ (Consumers Affairs Ministry) সৃষ্টি বহুল কাঙ্ক্ষিত দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলে অবশ্যই সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক মহলে ভোক্তাস্বার্থের দিকগুলো বেশি মনোযোগের কেন্দ্রেবিন্দুতে আসবে। কারণ একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী, সচিব ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তত সারাক্ষণ ভোক্তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে তৎপর থাকবেন।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখা। করোনা পরবর্তী সময় থেকেই ক্যাবসহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন এ বিষয়ে সরকারের করণীয় নিয়ে দাবি জানিয়ে এলেও এ বিষয়ে সরকারের দৃশ্যমান কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। অধিকন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়োজিত ছিল। আর ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে গিয়ে অনেক সময় সাধারণ ভোক্তাদের স্বার্থ তাদের কাছে গৌণ হয়ে যায়। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ১৮ কোটি ভোক্তাকে। তাই দেশের সাধারণ ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে পৃথক ভাবে ভোক্তা-অধিকার মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হলে দেশীয় ভোক্তারা অবশ্যই উপকৃত হবেন। ভোক্তাদের মনোবেদনা ও ভোগান্তির বিষয়গুলো দ্রুত সরকারের নীতিনির্ধারকদের নজরে আসা ও সমাধান অনেক বেশি সহজতর হবে। আর বর্তমান সরকার যেহেতু নতুন করে দায়িত্ব নিচ্ছে, সে কারণে ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে, সে প্রত্যাশা করি। তাই এ মুহূর্তে ভোক্তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অবিলম্বে একটি নতুন বিভাগ খুলে জনপ্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে আসবেন, এটা আশা করা যায়।
লেখক: ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।