আয়েশা সিদ্দিকা, জাবি প্রতিনিধি: ‘টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকাল ১০ টায় পুরাতন কলা ভবন চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জহির রায়হান মিলনায়তনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জাবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম। আজ দুপুর বেলা ১১ টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম সবাইকে আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে নারীদের পদায়ন করেছেন। তারা সকলেই দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে আরও বলেন, দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরতদের ৮৪ শতাংশেরও বেশি নারী। দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হওয়ার পেছনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক বলেন, অধিকার ও ন্যায্যতার ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি বৈষম্য ও বঞ্চনা দূর করতে হবে। তিনি নারী-পুরুষের শক্তিশালী সমতা দেখার প্রত্যাশা করেন। বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার তাঁর ভাষণে বলেন, নারী-পুরুষের সমতা পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। চিন্তা, চেতনায় নারীকে সমান দেখতে হবে। আদর্শিক চিন্তায় অভিন্নতা প্রতিষ্ঠিত হলে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত হবে।
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দা ফাহ্লিজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরফিয়া খানম প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরিন।
আলোচনা সভা শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।