বেরোবি প্রতিনিধি: রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত পরীক্ষা হলের উদ্বোধন করলেন-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি বলেছেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুণগত ও প্রায়োগিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কার্যকরী ও যুগোপযোগী শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করতে পারলে দেশের জন্য কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন সহজ হবে।’
আজ রোববার (০৬ মার্চ) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে নবনির্মিত পরীক্ষা হলের উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।
সল্পতম সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করতে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের গৃহীত পদক্ষেপে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। করোনা মহামারীর ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় বেরোবি কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিক্ষা সচিব মহাদয়। আগামী দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের এই গতিশীলতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। তিনি ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভবন এবং স্বাধীনতা স্মারকসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
এর পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে মতবিনিময় করেন। এবং এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ও ভৌত অবকাঠামোর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
যে কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে অন্তত ৫০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের আহবান জানান তিনি।