ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইউনিক আইডি’ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসি আয়োজিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এ নির্দেশনা দেন।
কর্মশালায় তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইউনিক আইডিকে শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ইউনিক আইডি তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিচিতি নম্বর পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি ক্ষেত্রে সনদ যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানার সঞ্চালনায় কর্মশালায় দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, হেড অব আইটি ও ইউনিক পরিচিতি নম্বরের ফোকাল পার্সনরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম ইউনিক আইডির বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ১৬ ডিজিটের ইউনিক আইডিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা এবং সনদ যাচাই নিশ্চিত করতে ইউজিসি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানার পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা সহজে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবে এবং সনদের আন্তর্জাতিকীকরণ ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং অন্য কোনো দেশ কর্তৃক বাংলাদেশের কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করা বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউনিক আইডির ফলে শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য মূল সার্ভারের পাশাপাশি ইউজিসি সার্ভারে এবং ব্যাকআপ সার্ভারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা দুর্যোগের কারণে কোন একটি সার্ভারে ক্রুটি দেখা দিলেও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের সনদ যাচাইয়ে কোনো সমস্যা হবে না।