ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকা, ইন্টারনেটের ধীরগতি ও আবাসিক হলের সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে তারা আন্দোলন শুরু করেন। এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার পর হলগুলোতে আলাদা একটি সংযোগ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
জানা যায়, ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকলেও আবাসিক হল ও শিক্ষক ডরমিটরিতে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। কিছুক্ষণের জন্য আসলেও আবার চলে যাচ্ছে। পানি সংকট, পড়াশোনার ব্যাঘাত, ঘুমের সমস্যা ও মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের তানজিনা আকতার বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি, কারণ আমাদের হলে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। আজ শবে বরাত, একটা পবিত্র দিন। আমরা মেয়েরা তো গোসল করার জন্য বাইরে যেতে পারি না। পানির সমস্যা। ওয়াইফাই এর স্পিড নেই। আমাদের এতো এতো সমস্যা বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও সমাধান হয়নি। আমাদের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব।’
এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল হাসান বলেন, ‘বিদ্যুৎ এর লাইন দেওয়া হয়েছে। মাটির নিচে কোথাও লাইন কাটা পড়েছে, তা ধরা যাচ্ছে না। এ কারণে আমরা মাটির ওপর দিয়ে লাইন টেনে দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যার বিষয়ে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। আসলে এটা তো সরকারের বিষয়। এটার দীর্ঘস্থায়ী একটা সমাধান কিভাবে বের করা যায় সেটা আমরা দেখবো।’