ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কাগজে-কলমে এবারও বছরের প্রথম দিনেই হবে ‘বই উৎসব’। তাতে ঠিক উৎসবের আমেজ থাকবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। একে তো ভোটের ডামাডোল, সঙ্গে সময়মতো পাঠ্যবই ছাপাতে না পারার বিপত্তি। নির্বাচনী আচরণবিধির মুখে আটকে গেছে মাধ্যমিকের মূল আয়োজন। প্রাথমিকের আয়োজনে সেই বাধা না থাকলেও প্রতিমন্ত্রীর ‘বিদায়ী’ অনুষ্ঠানে তাতেও যেন নেই ‘প্রাণ’। সব মিলেমিশে ১ জানুয়ারির বই উৎসব এবার সাদামাটাভাবেই সারতে হচ্ছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অবশ্য নির্বাচনী ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে চলছে নিজেদের দায়। তাদের প্রস্তুতির তেমন ঘাটতি নেই বলেই দাবি করছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিজ নিজ অধিদপ্তরের বলে উল্লেখ করছেন।
উৎসব আয়োজন যাতে ফিকে না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ভাবে উৎসব না হলেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে বই উৎসবে মুখরিত থাকে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বই উৎসব উদযাপন যেন ফিকে না হয়ে যায়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।
বই উৎসব নিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার নির্বাচনের কারণে উৎসবের আনুষ্ঠানিক আয়োজনটা হবে না। আনুষ্ঠানিক আয়োজন হলে বাড়তি উন্মাদনা থাকে। সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই তা নিয়ে কথা বলেও লাভ নেই। তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বই ঘ্রাণ ছড়াবে। বই উঁচিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন বছরে জ্ঞানার্জনে শপথ নিয়ে ফিরতে পারবে।’
কারা শতভাগ বই পাবে, কারা পাবে না
প্রাথমিকের সব শ্রেণির বই ছাপা শেষ। ষষ্ঠ-সপ্তমের বইও প্রায় ৯৭ শতাংশ ছাপা শেষ। কিছু উপজেলায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রথম দিনে নাও দেওয়া হতে পারে। তবে অধিকাংশ উপজেলায় এ দুই শ্রেণির শতভাগ বই ০১ জানুয়ারিই পাবে শিক্ষার্থীরা।
বড় বিপত্তি বেঁধেছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই নিয়ে। অষ্টম শ্রেণির ৮০ শতাংশ বই ছাপা শেষ বলে দাবি করছে এনসিটিবি। তবে সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বণ্টন করা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে সংশ্লিষ্টরা। আর নবম শ্রেণির বই নিয়ে এনসিটিবির লেজেগোবরে অবস্থা এখনো কাটেনি। দুদিন আগে দুটি বইয়ের চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি প্রেসে গেছে। ওই দুটি বই ছাপা শেষ করে বিতরণের জন্য পেতে জানুয়ারি মাসের পুরোটা সময় লেগে যাবে।
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবারই প্রথম নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ানো হবে। এ দুই শ্রেণিতে ১০টি বিষয়ে ১১টি বই। অষ্টম শ্রেণিতে সারাদেশে সাড়ে ৪৮ লাখের কিছু বেশি শিক্ষার্থী। তাদের জন্য ছাপানো হচ্ছে পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার বই। আর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ৪৬ লাখের বেশি। এ শ্রেণিতে বইয়ের সংখ্যা পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি।
যথাসময়ে বই ছাপা শেষ করতে না পারায় অষ্টম-নবমের বই নিয়ে কৌশলী পথে হেঁটেছে এনসিটিবি। কী সেই কৌশল, তা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘১ জানুয়ারি অষ্টম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঁচ থেকে ছটি বই পাবে। কিছু আবশ্যক বই যেমন—বাংলা, ইংরেজি, গণিতের সঙ্গে তুলনামূলক ছোট বা কম পাতার দুটি বই দিয়ে অন্তত পাঁচ-ছটা শিক্ষার্থীর বই হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এরপর ধাপে ধাপে সব বই তাদের দেওয়া হবে।’
তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যানের ‘কৌশল’ কতটুকু বাস্তবসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বই ছাপানোর কাজ করা বাংলাদেশ মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা। সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আরআর প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (চেয়ারম্যান) যা বলেছেন, তা আংশিক সত্য। ষষ্ঠ-সপ্তমের সব বই মোটামুটি শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে—এটা সত্য। তবে অষ্টম-নবমের ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বই পাবে কি না, তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। তিনদিন আগেই তারা বইয়ের ডামি দেখে চূড়ান্ত করেছেন। তাহলে তিন-চারদিনের মধ্যে বই ছেপে দেবে কে তাদের?’
০১ জানুয়ারি অষ্টম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঁচ থেকে ছটি বই পাবে। কিছু আবশ্যক বই যেমন—বাংলা, ইংরেজি, গণিতের সঙ্গে তুলনামূলক ছোট বা কম পাতার দুটি বই দিয়ে অন্তত পাঁচ-ছটা শিক্ষার্থীর বই হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এরপর ধাপে ধাপে সব বই তাদের দেওয়া হবে।- এনসিটিবি চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির বই ছাপার যে চুক্তিপত্র তাতে আমাদের ১৩ জানুয়ারি বই দেওয়ার কথা। আর নবমের চুক্তি অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার কথা। সেখানে উনি (চেয়ারম্যান) ১ জানুয়ারি অষ্টম-নবমের এত বই পাবেন কোথায়?’
শতভাগ বই পৌঁছেনি বহু উপজেলায়
এনসিটিবি বই ছাপা প্রায় শেষ বলে যে দাবি করছে, তার সঙ্গে একমত নন ছাপাখানার মালিকরা। কোন পক্ষের বক্তব্য সঠিক তা জানতে দেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় খোঁজ নেওয়া হয়। তাতে দেখা গেছে, ষষ্ঠ-সপ্তমের বই অধিকাংশই পেয়েছে জেলা-উপজেলাগুলো। অষ্টম-নবমের বই আংশিক উপজেলায় গেছে। দু-একটি উপজেলা নবমের বই একেবারেই না পাওয়ার কথাও জানিয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে নবম শ্রেণির বই আসা শুরু করেছে। এখনো ধর্ম বই পাইনি আমরা। গত সপ্তাহে অষ্টমের বই এসেছে। আনুমানিক হিসাবে বললে ৭০ শতাংশ বই পেয়েছি আমরা।’
রংপুরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই আংশিক পেয়েছি। এনসিটিবি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই পাঠাবে। আমরা অপেক্ষায় আছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার বলেন, ‘রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে দুটিতে অষ্টম শ্রেণির বই এসেছে। তবে নবম শ্রেণির বই আমরা এখনো হাতেই পাইনি।’
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দিনরাত বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খোঁজ নিচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রে প্রেসে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রাক-মিনিট্রাকে বই লোড করে পৌঁছে দেওয়ার তাগাদা দিচ্ছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে সব উপজেলায় বই পৌঁছাতে পারি। আশা করি—সেটা আমরা পারবো।’
অষ্টম শ্রেণির বই ছাপার যে চুক্তিপত্র তাতে আমাদের ১৩ জানুয়ারি বই দেওয়ার কথা। আর নবমের চুক্তি অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দেওয়ার কথা। সেখানে উনি (চেয়ারম্যান) ১ জানুয়ারি অষ্টম-নবমের এত বই পাবেন কোথায়?-প্রেস মালিক
৩১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসব হলেও এর উদ্বোধন করা হবে ৩১ ডিসেম্বর। সরকারের রুটিন কাজের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা ঘরোয়াভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এর আয়োজন করা হবে। এতে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তাছাড়া ১৫ জন শিক্ষাবিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থী থাকবে। তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা উচ্ছ্বসিত, তা এক-দুজন শিক্ষার্থীকে অনুভূতি জানানোর সুযোগ রাখা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
মাধ্যমিকে বই উৎসবে নেই ‘বিশেষ’ আয়োজন
এবার মাধ্যমিক পর্যায় অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বই বিতরণে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান হবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে বিধায় শিক্ষামন্ত্রীকে অতিথি করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বাধ্য হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অতিথি হিসেবে নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই উৎসবে অংশ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উৎসব আয়োজনে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেদিকেও নজর রাখতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, ‘এখন তো কিছু করার নেই। এখন সরকার রুটিনকাজ করছে। নির্বাচন কমিশনে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম, সেটাতে সম্মতি মেলেনি। আনুষ্ঠানিক আয়োজন না হলে যে উৎসব হবে না, তা নয়। সারাদেশে সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে, আনন্দ করবে- এটাই উৎসব।’
প্রাথমিকের উৎসবও হতে পারে ‘প্রাণহীন’
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি নির্বাচনে প্রার্থী হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবার নির্বাচন করছেন না। নৌকার মনোনয়ন জোটেনি। স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলেও পরে তা প্রত্যাহার করেছেন। নানা কারণে বিতর্কের মুখে জাকির হোসেন। প্রার্থী না হওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে অতিথি করে মিরপুর ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মতি দিয়েছে ইসি। সেই অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী থাকবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থাকলেও সেটাই হতে পারে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জাকির হোসেনের শেষ অনুষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উৎসবের বদলে সেটা প্রাণহীন অনুষ্ঠানে পরিণত হতে পারে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনে এবার প্রার্থী নন। তিনি রাজনৈতিক কাজেও অংশ নিচ্ছেন না। বই উৎসব করতে প্রাথমিকে বাধা নেই। আমরা আগের ঘোষণা অনুযায়ী মিরপুরে বই উৎসব করবো।’
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হচ্ছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের দেওয়া হবে ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’। জাগো নিউজ।