ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৯৪ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৬ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৫৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি এবং কারিগরির জন্য ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল ৫৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এবার ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে আসন্ন অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা বেড়েছে। এছাড়া, ২০২৪- ২৫ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিলো ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এ জন্যে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ সৃজনের লক্ষ্যে দেশের ১৬০টির অধিক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।