ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। অনিয়ন্ত্রিত ভর্তি ফি এবং অ-আনুসাঙ্গিক নানা ধরনের ফি নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগী অভিভাবকরা।
যথাযথ আইন ও সরকারি অবহেলায় রাজধানীসহ সারাদেশে নামে-বেনামে গজিয়ে উঠছে এসব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এসব টাকা কামানোর মেশিন নামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরী বলে মনে করছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
তবে এসব শিক্ষা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও দুষছেন শিক্ষাবিদরা।
এদিকে, আইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় অভিযোগ পেলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রাজধানীতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি এবং ভর্তি ফি আদায়ের সময় অতিরিক্ত ফি এর বিষয়ে জানতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর নিজস্ব স্টেশনারি কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে কি না তাও জানতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
সরেজমিনে কয়েকদিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীজুড়েই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছড়াছড়ি। তবে অভিজাত এলাকায় এর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে গুলশান, বানানী, ধানমন্ডি, বনশ্রী, মিরপুর ও উত্তরা এলাকায়। এসব এলাকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে অন্য এলাকার থেকে খরচও বেশি। আবার একই প্রতিষ্ঠানের রাজধানীজুড়ে কয়েকটি শাখাও রয়েছে।
রাজধানীর আসাদ এভিনিউ এর সেন্ট জোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরার জাহান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বনানীর চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, বনশ্রীর করডোভা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আজিমপুরের রিভারডেল স্কুলসহ আরও কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ভর্তি ফি অতিরিক্ত বলে দাবি করেছেন অভিভাবকরা। এছাড়া কিছু স্কুলের নিজস্ব স্টেশানারী থেকে পণ্য কিনতে বাধ্য করারও অভিযোগ রয়েছে।
পিয়া আক্তার নামের এক অভিভাবক তার সন্তানকে বনশ্রীর করডোভা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্লে গ্রুপে ভর্তি করিয়েছেন। ভোক্তাকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এখানে বাচ্চাকে ভর্তি করাতে ফি নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা, মাসিক বেতন চার হাজার টাকা, এছাড়া বই খাতা কেনার জন্য চার হাজার টাকা এবং দুটি স্কুল ড্রেস ১৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ভর্তি ফি অনেক বেশি। এছাড়া বই-খাতা, স্কুল ড্রেস স্কুল থেকেই কিনতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে দেবে না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুল ড্রেসের কাপড়ের মান অনুসারে দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে।’
আসাদ এভিনিউ এর সেন্ট জোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে কথা হয় রুবিনা আক্তার নামের এক অভিভাবকের সঙ্গে। ভোক্তাকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘মিশনারী স্কুলগুলোতে খরচ কম হয়। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও খরচ তেমন না। সেই তুলনায় এখানে অনেক বেতন নিচ্ছে। এখানে মাসে ১৬ হাজার টাকা বেতন নেওয়া হচ্ছে। এবার আমার বাচ্চার ল্যাব ফি নিয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এটা অনেক বেশি। একটা বাচ্চার ল্যাব ফি ১৫ হাজার টাকা হয় কখনো?’
জানা গেছে, সেন্ট জোসেফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ক্লাস ওয়ানের একজন শিক্ষার্থীর মাসিক স্কুল বেতন এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সে হিসাবে বছরে খরচ হয় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া ভর্তি ফি নেওয়া হয় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে পরবর্তী ক্লাসে উঠলে টাকার অঙ্ক আরও বেড়ে যায়। তবে স্কুলের শাখা অনুযায়ী খরচ কম-বেশি হয় বলেও জানা গেছে।
জাকিয়া সুলতানা নামের একজন অভিভাবকের সন্তান পড়েন রাজধানীর উত্তরার জাহান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। ভোক্তাকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘এই স্কুলে প্লে গ্রুপে ভর্তি ফি নেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা, মাসিক বেতন ছয় হাজার টাকা, বই-খাতা কিনতে নিয়েছে আট হাজার টাকা, এক সেট স্কুল ড্রেস কিনেছি দুই হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য ফি বাবদ আরও ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে একটু ভালো ভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এতো টাকা খরচ করে পড়ানো হচ্ছে। তবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে ভর্তি ফি‘র পাশাপাশি স্টেশনারী কিনতে বাধ্য করে। স্কুলের নিজস্ব স্টেশনারী থেকে এসব কিনতে হবে। বাইরে থেকে কিনলে গ্রহণ করবে না। এসব কিনতেও বাড়তি টাকা নেয়। যা গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজিমপুরের রিভারডেল স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানে প্লে গ্রুপে ভর্তি ফি নেওয়া হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকা, মাসিক বেতন এক হাজার ৪০০ টাকা এবং ফটোকপি বাবদ দুই হাজার টাকা নেওয়া হয়। এই স্কুলে অবশ্য স্টেশনারী, বই খাতা এবং স্কুল ড্রেস বাইরে থেকে কিনলেও কোনো সমস্যা নেই।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অতিরিক্ত ফি এবং স্টেশানারী কেনার বিষয়ে আজিমপুরের রিভারডেল স্কুলে অধ্যক্ষ ফারজানা রোজী ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘যেসব ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বাইরের দেশের দ্বারা পরিচালিত হয় তাদের ফি অনেক বেশি হয়। এছাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পরিচালনার জন্য যে ধরনের শিক্ষকমন্ডলী প্রয়োজন, তারা মূলত ইংলিশ মিডিয়াম ব্যাকগ্রাউণ্ডে পড়াশুনা করে আসা। দেশের বাইরে থেকে পড়াশুনা করে আসা শিক্ষকদের মূলত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের বেতন এবং সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি দেওয়া হয়। স্কুল ভেদে ফি কম-বেশি হয়। স্টেশনারী নেওয়ার ক্ষেত্রে সব স্কুল বাধ্য করে না। কিছু প্রতিষ্ঠান একটু বাড়তি লাভের জন্য এটা করে থাকে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ইংলিশ মিডিয়াম বা ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা পড়াশুনা করে তাদেরকে এক প্রকার জিম্মি করে অর্থ আদায় করে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি আসলে অনেক ক্ষেত্রে মানা হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে এতো বেশি শ্রেণিকরণ, এতো বিভাজন যে তাদের এক ছাতার মধ্যে নিয়ে এসে তাদেরকে সমন্বয় করে একই সিদ্ধান্তে পরিচালনা করার যে অবস্থা সেটি আমরা তৈরি করতে পারছি না। কারণ ভর্তির ক্ষেত্রে একেক প্রতিষ্ঠানে একেক রকম ফি, একটা ক্লাস থেকে যখন একজন শিক্ষার্থী অন্য ক্লাসে উত্তীর্ণ হচ্ছে তখন ইয়ার ফি বা সেশনাল ফি তারা নিচ্ছে। এছাড়া খাতা, কলম, বই, স্কুল ড্রেস স্কুল থেকে কিনতে হবে। বা তাদের নির্ধারিত কোনো দোকান থেকে কিনতে হবে। এভাবেই অবস্থাটা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি দাঁড়িয়েছে যে, কেউ যখন অভিযোগ না করে, অভিযোগগুলো যত দিন বড় আকারে না হয় তত দিন আমাদের রাষ্ট্র, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম খুব একটা বেশি গুরুত্ব দিয়ে কথা বলে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সমস্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে যাদের সন্তান পড়ে, তাদের কাছে ওই প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ অর্থ চায় তারা সেটা দেওয়ার সামর্থ রাখে বা তারা সেটা দেয়। হয়তো তারা কোনো অভিযোগ করে না। এর মধ্য দিয়ে পড়াশুনার ধারার বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরিবারের বা অভিভাবকের অর্থ থাকলে বড় স্কুলে ভর্তি হওয়া, বেশি অর্থ দিয়ে পড়াশুনা করাও সামাজিক অবস্থানের একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায় অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে। আমরা কখনো কখনো বলতে শুনে থাকি, যে আমার সন্তান ওমুক স্কুলে পড়ে, তার ইয়ার ফি এতো টাকা, বেতন এতো টাকা। আমার সাংবিধানিক অধিকার শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একটা পক্ষ যে বাণিজ্য করছে তার খোঁজ রাখছি না। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তা দেখাতে পারছি না।’
ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের কিছু মানুষের অন্ধ বিশ্বাস আছে যে ইংলিশ মিডিয়াম বা ইংরেজি ভার্সনে যারা পড়ে তারা বোধ হয় অনেক মেধাবী হয়। তারা অনেক আধুনিক ও স্মার্ট হয়। আপনি যদি একটি রাষ্ট্রকে অভিন্ন লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চান তাহলে এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এবং নাগরিকদের মধ্যে একটি অভিন্নজনক কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। নাগরিকদের মধ্যে দেশের লক্ষ্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত করা এবং প্রায় একই বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ নাগরিক তৈরি করার প্রচেষ্টা থাকা চাই। একই রকম হবে না তবে প্রচেষ্টা থাকা চাই। কিন্তু এই প্রচেষ্টাতে আমাদের যথেষ্ট দুর্বলতা বা ঘাটতি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু বহু বছর ধরে বলার চেষ্টা করছি আমাদের বাংলা মিডিয়াম, ইংরেজি মিডিয়াম, আমাদের আরবি শিক্ষা, এগুলো এতো ধরণ আমরা না রেখে আমাদের আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের রাষ্টের জন্মের যে মূল্যবোধ সেই মূল্যবোধের সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা যতক্ষণ পর্যন্ত চালু করা এবং প্রবর্তন করতে না পারবো আমরা ততদিন এই ধরনের বৈষম্য থেকে বের হতে পারবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মূল বিষয় হচ্ছে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের মধ্যে একটি শক্তিশালী মহল বাণিজ্য করছে। সেই বাণিজ্যেরই একটা অংশ হলো এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। তারা যেভাবে চায় সে ভাবে অভিভাবকদের কাছ থেকে এক প্রকার জিম্মি করে অর্থ আদায় করছে। এই অভিভাবক মহল যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবাদ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।’
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. হুমায়ন কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে এক ধরনের জুলুম চলছে। এগুলো কারো নিয়ন্ত্রণে নেই। অনেক স্কুল লন্ডন থেকে প্রশ্নপত্র এনে পরীক্ষা নেয়। এবং বইপত্র, কাগজ, কলম যা আছে সব তাদের ওখান থেকে কিনতে হয়। এগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরেও অনেক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে তারা এই কাজটা করছে। এটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে বলে ক্যাবের পক্ষ থেকে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এই স্কুলগুলো সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে না। সরকার মনে করছে আমাদের দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করবে কেন দেশেই করুক। এতে খরচ যে যার মতো নিচ্ছে এ বিষয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই। ভোক্তা অধিদপ্তরকেও তেমন কিছু করতে দেখি না। বাংলা মিডিয়ামগুলোর মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে। ইংলিশ মিডিয়ামগুলো আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে না। তারা পরিচয় দেয় লন্ডনের। সাধারণ ভাবে চিন্তা ভাবনা করলে এক ধরনের জুলুমের পর্যায়ে পড়ে।’
ভোক্তা অধিকারের আইনে শিক্ষার বিষয়টি না থাকায় অভিযোগ থাকলেও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তবে নতুন আইনে এই বিষয়টি সংযুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক।
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিযোগের বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বছরের শুরুতে স্টেশনারী স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এগুলোর বাজারে যে দাম তার থেকে অতি উচ্চমূল্য নেওয়া হয়। স্কুলের নির্ধারিত টেইলার থাকে, সেই টেইলারের সঙ্গে স্কুলের একটি সংযোগ থাকে। সেই টেইলার থেকেই স্কুলের ইউনিফর্ম কিনতে হয়। নিম্নমানের ইউনিফর্ম তৈরি করতে বাধ্য করা হয় এবং এর ফি ধরা হয় অতি উচ্চ।’
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের যে ক্যান্টিন সেগুলোতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এমন অভিযোগ পাই। তবে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ পাই, সেটি হলো- বছরের শুরুতে অনেক স্কুল তিন থেকে চার মাসের বেতন একসঙ্গে নেন। এমনটি দেখা গেছে নয় মাসের বেতন একসঙ্গে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে।’
আইনের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘একজন ভোক্তা হিসেবে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। তবে ভোক্তা-অধিকার আইনের কিছু সীমাবদ্ধ থাকায় সরাসরি আমরা এসব স্কুলগুলো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।’
-এসআর