ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। তবে শতভাগ পাশকৃত স্কুলের সংখ্যা কমেছে। অপরদিকে, অনুপস্থিত ও বহিস্কৃত পরিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
রোববার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার এই বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার দুই হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ৯৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে এক লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫ জন পরীক্ষার্থী পাশ করে। মোট পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতবার পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ফেল করেছে ৪২ হাজার ৭৪৯ জন।
এবারে এই বোর্ড থেকে ১৮ হাজার ১০৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। যা গত বারের চেয়ে ৯৯৫ জন বেশী। জিপিএ-৫ পাওয়া ১৭ হাজার ৪১০ জনের মধ্যে ছাত্রী নয় হাজার ২৪৬ জন এবং ছাত্র আট হাজার ৮৫৯ জন।
এবারের পরীক্ষায় মোট ৬৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার হয়েছে। যা গত বার ছিল ৭৬ জন। শতভাগ পাশ করেছে ৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী। যা গতবার ছিল ৮০টি। সে হিসাবে শতভাগ পাশের স্কুলের সংখ্যা তিনটি কমে গেছে। এবারে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাশ করেনি। যা গতবার ছিল একটি।
শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান হিসাবে, গত ৮ বছরের মধ্যে পাশের হার ২০১৭ সালে ৮৩ দশমিক ৯৮, ২০১৮ সালে ৭৭ দশমিক ৬২, ২০১৯ সালে ৮৪ দশমিক ১০, ২০২০ সালে ৮২ দশমিক ৭৩, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা গত বারের চেয়ে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশী।
প্রাপ্ত ফলাফলে এবারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৬৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাশের হার ৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ।
সব বিভাগ মিলে মেয়েরা পাশ করেছে ৮১ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ছেলেরা পাস করেছে ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।