ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া, ভর্তি ফি ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত নীতিমালা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।
ভর্তির যোগ্যতা
২০২১, ২০২২, ২০২৩ সালে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
গ্রুপ নির্বাচন
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনো একটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনো একটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যে কোনো একটি; যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনো একটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি
ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী যে মহানগর/বিভাগ/জেলায় কর্মরত থাকবেন তার সন্তান সেই মহানগর/বিভাগ/জেলায় ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।
মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের শনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
যে সকল শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে মানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রবাসীদের সন্তান/বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রায় নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানের প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। প্রার্থী বাছাই করে যদি উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রায় নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই করে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
নীতিমালায় যাই কিছুই থাকুক না কেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইনে হবে।
কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে।
সকল কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।
অনলাইনে ভর্তি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.xiclassadmission.gov.bd
শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পরপক্ষমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ, শিষ্ট, পুরুষ/মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞরিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বোর্ডসমূহ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে এই বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনলাইনে বোর্ড থেকে প্রাপ্ত ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের মেধাক্রম তালিকা কলেজের নোটিশ বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র দাখিল করতে হবে।
ভর্তি ফি
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় উভয় ভার্সনে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ব্যতীত) বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ২ হাজার টাকা, জেলায় উভয় ভার্সনে ২ হাজার টাকা, উপজেলা বা মফস্বলে উভয় ভার্সনে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনো ক্রমেই উন্নয়ন ফি নিতে পারবে না।
নন-এমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঢাকা মেট্রোপলিটেন বাংলা ভার্সনে ৭ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি ভার্সনে ৮ হাজার ৫০০, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ব্যতীত) বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলায় বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্বলে বাংলা ভার্সনে ২ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা।
সরকারি কলেজসমূহ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনীয় ফি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেবে এবং বাড়তি কোনো ফি নেওয়া যাবে না।
শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফি
রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি ৫০ টাকা, রোভার/রেঞ্জার ফি ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা।
ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ১০ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ আগস্ট। আবেদন যাচাই, বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ২১ থেকে ২৪ আগস্ট। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ৩১ আগস্ট। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ৩১ আগস্ট।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণের ফল ১৬ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা। তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর নিশ্চায়ন ২৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর।
ভর্তি শুরু হবে ২৬ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ৫ অক্টোবর। আর ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোনো শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
অনুমতি বা স্বীকৃতিবিহীন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিষিদ্ধ
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই, এমন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অননুমোদিত এবং অননুমোদিত কোন বিষয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা যাবে না।
নীতিমালার প্রয়োগ
দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ছাত ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এই নীতিমালার কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটানো হলে বেসরকারি কলেজ/সমমানের প্রতি ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজটির এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে এবং কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।