ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। শিক্ষা ও গবেষণায় সুনাম থাকলেও চার কারণে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ভাল অবস্থান না থাকা হতাশাজনক। এতে আন্তর্জাতিক ভাবে এ প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে যৌথ ভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকায় দেশের প্রথম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), দ্বিতীয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল (বুয়েট), তৃতীয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও চতুর্থ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক ও কর্মসংস্থানে অন্যদের থেকে শতকরা কয়েকগুণ পিছিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এসব সূচকে রাবির পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১০ শতাংশ, ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, ঢাবির পারফরম্যান্স যথাক্রমে ২৩ শতাংশ, ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫২ শতাংশ ও ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া রাবির তুলনায় বুয়েট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও কয়েকগুন এগিয়ে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কোনো অ্যালামনাই এসোসিয়েশন নেই। ফলে চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীর অবস্থান সম্পর্কিত তেমন কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। এছাড়া দীর্ঘদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত যথেষ্ট কম। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা ও ব্যবসা অনুষদে গবেষণা তুলনামূলক অনেক কম। এসব গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং কম। অধিকাংশ গবেষণাই বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জার্নালে প্রকাশিত হয়। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং ও শিক্ষক-প্রতি গবেষণা-উদ্বৃতি পয়েন্ট কমে যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। যারা আসছেন যথাযথ পরিবেশের অভাবে তাদের অধিকাংশও পাঠ চুকিয়ে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস-অব-ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্রসের পরিচালক ড. আজিজুর রহমান বলেন, র্যাঙ্কিং নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কিউএস এবং টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছি। তবে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য না থাকায় র্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণাঙ্গ তথ্য যথাসময়ে জমা দিতে পারছি না। ফলে কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছি। সমানে হয়তো সেই সুফল পওয়া যাবে।