ভবিষ্যতে দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
জাগো নিউজ থেকে জানা যায়,সোমবার (২৯ মার্চ) গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘স্বাধীনতা সবারই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি পরিবহন ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি এবং জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে হয়।
প্রতিষ্ঠান দুটি ৫০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নেয়ায় মেয়র ধন্যবাদ জানান। তার মতে ‘উদ্যোগটি ঐতিহাসিক এবং বৈপ্লবিক’।
কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের জন্য মেয়র আতিকুল ইসলাম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের রাইডশেয়ারিং কোম্পানিটির সাইকেল ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্বাচনের স্লোগান ছিল, সবাই মিলে সবার ঢাকা। সুস্থ, সচল, আধুনিক ঢাকা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কাজ করাও আমার প্রতিশ্রুতির অংশ। এই দেশে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের লোক থাকবে। দেশ গড়তে হলে সকলকে লাগবে। জাতির জনক এ কথাই বলে গেছেন। স্বাধীনতা সবারই। সবাই বলতে সকল লিঙ্গকেও বুঝানো হয়েছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চায় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের ঘর নাই তাদের ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। সেলাই মেশিন কিনে দেয়া হচ্ছে, তারা কৃষি কাজ করছে। ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেরই কাজ করে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করার অধিকার রয়েছে।’
মেয়র তার দফতরেও দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়োগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘সকল প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি দুইজন করেও চাকরি দেয়, তাহলে সকল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে যায়। এ জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সামাজিক সংগঠন ট্রান্সএন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লামিয়া তানজিন তানহা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
সূত্রঃ জাগো নিউজ