গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে ভারত সরকার। দৈনিক ইত্তেফাক থেকে জানা যায়, শনিবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে বক্তব্যকালে এ ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, মেয়েদের জন্য একটি মিডল স্কুল স্থাপন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা যেন পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় সে জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এসবে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে ভারত সরকার।
এ সময় ভারত ও বাংলাদেশ নিজেদের বিকাশ ও নিজেদের প্রগতির চেয়ে সমগ্র বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই পৃথিবীতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস এবং অশান্তির পরিবর্তে স্থিতিশীলতা, প্রেম এবং শান্তি চায়।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ঢাকায় জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সময় আমি বাংলাদেশে সৌর্য, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির অপূর্ব প্রদর্শন দেখি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজ যেভাবে বাংলাদেশ-ভারতের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে সাংস্কৃতিকভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি ও শ্রী শ্রী হরিচাঁদ জি বহু দশক থেকে করে আসছে। এই স্থান বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক। মনের সঙ্গে মনের সম্পর্ক।’
তার কথায়, ‘ভারতের হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওড়াকান্দি এসে যেমন অনুভব করে আমিও ঠিক তেমন অনুভব করছি। এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা আমার বহু দিনের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি যখন বাংলাদেশে আসি তখনই আমি এখনে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো। আমি নিয়মিতভাবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুগামীদের থেকে ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি।’
এর আগে তিনি সফরের অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন নরেন্দ্র মোদী।
সফরের দ্বিতীয় দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক