বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ৯ শতাংশ মানুষ অধিক কাজ করছেন। যার ফলে ৭২ শতাংশ মধ্যবয়স্ক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা হৃদরোগের শিকার হন। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মানুষরাই অধিক কাজ করার দরুণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়েন।
হু–র গবেষণা বলছে অধিক কাজ করা মানে দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া। একেবারে গ্লোবাল স্টাডির পরিসংখ্যান দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, স্রেফ ২০১৬ সালে ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার মানুষের স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগে মৃত্যুর সঙ্গে অধিক কাজ করার সম্পর্ক ছিল। এই ধরণের মৃত্যুর প্রবণতা ২০০০ সাল থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে বলেও দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিবেশ, আবহওয়া ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর মারিয়া নেইরা বলেছেন,
১৯৪ দেশের মানুষের ওপর হওয়া এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩৫ শতাংশ, অন্যান্য জটিল হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সপ্তাহে অন্তত ৩৫–৪০ ঘণ্টা কাজ করা স্বাস্থ্যকর। ২০০০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হওয়া এই গবেষণায় করোনা অতিমারী পর্ব যোগ হয়নি। তবে গবেষকদের দাবি, এই পর্বে এক অংশের কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে, ফলস্বরূপ বেড়েছে ঝুঁকিও।
যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা থাকলেও অসুবিধা রয়েছে অনেক। ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের (work From Home) দুনিয়ায় বেড়েছে কাজের চাপ। চার দেওয়ালের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসেও কাজ করায় কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।হয় সারাদিন কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ, নাহলে মোবাইলে ব্যস্ততা। এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রত্যেককেই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়।চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন,
চোখ ভালো রাখতে গেলে, সারাদিনে প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া প্রয়োজন। রোজ অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল খেতে হবে। তার ফলে একদিকে যেমন চোখ পরিষ্কার এবং সুস্থ থাকবে, তেমনই ডিহাইড্রেশনেরও চিন্তা থাকবে না।