খুলনার ইসরাত জাহান এবং ঢাকার প্রিয়া অনলাইনে পণ্য কিনে দাম ও মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অর্ডার মাফিক পণ্য না পাওয়ার ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।
ইসরাত জাহান “ফ্যাশন গ্যালারি” নামক ফেসবুক পেজ থেকে পাঁচটি পাঞ্জাবি অর্ডার করেন, কিন্তু তিনি কাঙ্ক্ষিত পণ্য পাননি। নিম্নমানের পাঁচটি পাঞ্জাবি দেওয়া হয়েছে।
যখন বিষয়টি তাদের জানানো হয়, তখন তারা ভুল স্বীকার করলেও পণ্য ফেরত নেয়নি। পরবর্তীতে তাদের আর কল করে পাওয়া যায়নি। ইসরাত তারপর ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।
ঠিক তেমনই ফাহিম আখতার প্রিয়া নিম্নমানের পণ্য পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন মনে করে উনার তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে বর্ণনা করেন।
বর্ণনাটি ছিল ঠিক এরকম,” বিবরণ অনুযায়ী পণ্য ছিলো নাকি তা আমি বুঝতে পারিনি আগে। আমি পণ্যটি ২৬ এপ্রিল অর্ডার করি এবং ২৮ এপ্রিল পণ্যটি পাই। তখন বলা হয়েছিল যে পণ্যটির সাথে গিফট দেয়া হবে কিন্তু আমাকে তা দেয়া হয়নি। আমি ১৫ দিন যাবৎ খেয়েও কোনাে উপকার পাইনি। ১০০ গ্রাম ওজনও কমেনি বরং আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। তাদের পেজে অনেক রিভিউ দেওয়া আছে যা আমার কাছে এখন পেইড রিভিউ মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি নিজেকে প্রতারিত অনুভব করছি। দয়া করে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বাধিত করবেন।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অসংখ্য অনলাইন শপিং পেজ রয়েছে, যেগুলো নানা রকমের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে। এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজকাল সবধরনের পণ্যই কেনাবেচা হচ্ছে।
অনলাইনে শপিং করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের অভিযোগ এক পণ্য দেখিয়ে নিম্নমানের আরেক পণ্য দেওয়া হয় ডেলিভারির সময়। আবার, কিছু কিছু পেজে অগ্রিম মূল্য পরিশোধের পরেও পণ্য পাওয়া যায় না।
এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আদায়কৃত জরিমানার অর্থের ২৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত অভিযোগকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয়।এ আইনের অধীনে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।এ ছাড়া জরিমানা ছাড়াও ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল, ব্যবসায়িক কার্যক্রম সাময়িক বা স্থায়ীভাবে স্থগিতও করতে পারে অধিদপ্তর।এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৬৬ ধারা অনুযায়ী একজন ভোক্তা চাইলে অধিকার আদায়ে দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে পারে।