অনেক কসরতের পর প্রায় একসপ্তাহ পর ভাসল আটকে থাকা দৈত্যাকৃতি পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি এভার গিভেন’। সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেকটাই অচল হয়ে গিয়েছে।কিন্তু অবশেষে ‘শাপমুক্তি’ হতে চলেছে এই সুয়েজ খালের।
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথটিতে ফের সুষ্ঠুভাবে জাহাজ চলাচল শুরু হতে সময় লাগবে। উল্লেখ্য, একাধিক উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২০টি পণ্যবাহী জাহাজ আটকে রয়েছে সুয়েজ খালে। দক্ষিণাংশে প্রবেশের মুখে জাহাজগুলি নোঙর করে রয়েছে। প্রায় ২৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাহাজগুলি। এর ফলে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে মিশর প্রশাসনের। আটকে ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। তবে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুয়েজ ক্যানাল অথরিটির চেয়ারম্যান ওসামা রাবি জানিয়েছেন, আপাতত কিছুটা সরানো হলেও, রাস্তা এখনও বন্ধ।
উল্লেখ্য, কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুয়েজ খাল লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করে। এটি এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ। এক বিবৃতি জারি করে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রবল ধাক্কা খেয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। এই পথেই ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশ থেকে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে ভারত। এরমধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, লোহা, স্টিল, যন্ত্রাংশ, গাড়ি ও বস্ত্র-সহ বেশ কিছু পণ্য।