কুমিল্লার মালীপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন তপু এবং ঢাকার সাইমন ইসলাম রোমান ই কমার্স সাইট ইভ্যালির কাছ থেকে সময়মত পণ্য সরবরাহ পায়নি এবং ইভ্যালিতে অভিযোগ জানানোর পরেও সেই পণ্যটি পাননি বরং পণ্যটি রিজেক্ট হয়েছে বলে তারা জানতে পারে।
ইভ্যালি থেকে ৪টি প্রোডাক্ট অর্ডার করার পর ইভ্যালি মহিউদ্দিন তপুকে ২১কার্যদিবস এর মধ্যে প্রোডাক্ট পৌছে দেয়ার আচ্ছাস দিয়ে থাকেন।তিনি তার প্রোডাক্টের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকেন কিন্তু উনার অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হয়নি। তাদের সাথে যোগাযোগ করার পর ‘তাড়াতাড়িই পণ্যটি পেয়ে যাবেন’ এই বলে আরো অনেক দিন পার করে ফেলেন। যার ফলে উপায় না পেয়ে উনি ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের শরনাপণ্য হন এবং অভিযোগ করেন।
এই বিষয়টি নিয়ে তপু অভিযোগ ফর্মে অভিযোগের বর্ণনা করেন এভাবে, “আমি ২১কার্যদিবস অতিক্রম করার পরও আমি আমার পণ্য পাইনি ইভ্যালির সাথে কয়েকদফা যোগাযোগ করেছিলাম প্রতিবারই একটি কথা বলে যাচ্ছে “এই বিষয়টির জন্য আমরা দুঃখিত এবং কিছুদিনের মধ্যে আপনি পণ্যটি পেয়ে যাবেন” কিন্তু এই কিছুদিন এখনো শেষ হয়নি। কিছুদিন যাবত ফোন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।“
ঠিক তেমনি ইভ্যালির আরেকজন ভোক্তভুগী সাইমন রোমান তার অভিযোগ ফর্মে বর্ণনা করেন, “আমি গত ১২জানুয়ারী তারিখের ঢাকা ফর গ্রছড়ি য়দনে এ ২০০ পিস ডেনিশ কনডেন্সড ফিলড দুধ ৩৯২ গ্রাম এর দুধ অর্ডার করি (ইভ্যালির মধ্যমে মিনক্লিক ওয়ারী শাখায়) । তারপর ১৩জানুয়ারী তারিখে পুরো ৮৪০০ টাকা পরিশােধ করি নগদের মাধ্যমে। তাদের নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে গ্রছড়ি প্রােডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার কথা কিন্তু আজ পর্যন্ত পেলাম না।”
এইরকম অনেকেই ইভ্যালির অনলাইন কেনাবেচায় হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। অভিযোগ দুটি এখনো নিস্পত্তি এর পর্যায়ে রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে, গত কয়েক মাস ধরে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে অনলাইন কেনাবেচায় প্রতারিত গ্রাহকের। এসবের মধ্যে ৮০ ভাগই ইভ্যালির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের অধিকাংশই সময়মত পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া, অর্ডার দেওয়া পণ্য ক্যানসেল করে গ্রাহকের টাকা ফেরত না দেওয়া সংক্রান্ত। তবে মিলছে না সুরাহা।
আরও পড়ুন :ই কমার্স হয়রানি : নামে প্রিয় কাজে অপ্রিয় – VoktaKantho.com