রাজধানীর পুরান ঢাকার শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় আর বেচাকেনার যে রমরমা অবস্থা অন্যবার থাকে সেটি এবারে দেখা যাচ্ছে না। আবার যারা আসছে অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
ঈদকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট রোড, সিমসন রোড়, পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, লেডিস হকার্স মার্কেট, সদরঘাটের গ্রেট ওয়াল শপিংমলগুলোতে চিরায়ত বেচাকেনার সেই ধুম নেই। বেচাকেনা তেমন একটা না হওয়াতে দোকানদাররা অলস সময় পার করছেন। শাড়ি, থ্রি-পিস, লুঙ্গি, বোরকা, শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামার দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ততার কোনো ছাপ দেখা যায়নি।
হাজী আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের লকডাউনের আগে বেচাকেনা ছিল, এখন নেই। ঈদের পরে বাড়তে পারে, তবে গণপরিবহন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে।’
মো. সোলাইমান হায়দার নামে একজন বলেন, ‘পরিবারে বাচ্চা ও মা-বাবা আছে তাদের জন্যে কাপড়চোপড় কিনতে এসেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি, কেনাকাটা হয়ে গেছে। বাচ্চার পোশাকটা কেনা হলে বাসায় চলে যাব।’
সদরঘাটের গ্রেট ওয়াল শপিংমলের গোল্ডেন মাইলসের কর্মচারী মো. রকি বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলাচলের পর থেকে বেচাকেনা হচ্ছে মোটামুটি। তবে পরিবহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে বেচাকেনা আরও বাড়ত। ঈদের আগে বেচাকেনা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।’
গুলশান আরা সিটি মার্কেটের মা-বাবার দোয়া ফেব্রিকসের স্বত্বাধিকারী রানা হাসান বলেন, ‘আমাদের বিক্রি টুকটাক সবসময় হয়ে থাকে। তবে এবার রমজানের শুরুতে লকডাউন দেওয়ার কারণে বেচাকেনা হয়নি। ঈদের আগেও বেচাকেনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’