কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য পাঠালে পণ্যের বিপরীতে প্রাপ্য টাকা নিয়ে আটকে রেখেছে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্রেস বাংলা’। আসল মালিক বারবার তার প্রাপ্য টাকা চাইলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি/ব্যবসায়ী যদি ক্যাশ অন ডেলিভারি শর্তে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য পাঠায়, তবে ঐ পণ্যের বিপরীতে নির্ধারিত টাকা এনে ব্যবসায়ীকে ফেরত দেয় সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। আর এই সার্ভিসের বিনিময়ে একটি চার্জ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এক্সপ্রেস বাংলার মাধ্যমে পণ্য পাঠিয়ে প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন ঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসহাক।
তিনি বলেন, ‘গত মে মাসের শেষ দিকে এবং জুনের ১/২ তারিখের বাংলা কুরিয়ারের মাধ্যমে কিছু পারসেল পাঠাই। তারপর জুনের ৬ তারিখ থেকে আমি আমার পেমেন্ট চাচ্ছি কিন্তু আমাকে আমার পেমেন্ট দিচ্ছে নাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা ফোন করলে ধরে নাহ, কেটে দেয়। পেইজে মেসেজ দিলে রিপ্লে দেয় নাহ। এমনকি তারা এখন আমাকে ব্লক করে দিয়েছে।’
যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পণ্য পাঠায় তা হল-
- ক্যাশ অন ডেলিভারি টাকা সপ্তাহে ৩ দিন যে কোন ব্যাংকে পেমেন্ট পাঠানো হয়, এছাড়াও ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সুবিধা রয়েছে।
- এক্সপ্রেস বাংলা ওয়েবসাইট পোর্টাল থেকে পেমেন্ট রিকুয়েস্ট দিয়ে মাত্র ১ ঘন্টায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পেমেন্ট নেওয়া যাবে।
কিন্তু এই অভিযোগ বলছে ভিন্ন কথা। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, এ প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেকের সাথেই এমন করছে।
তবে কি তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি নিজেরাই রক্ষা করে না! এভাবেই সাধারন মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে!
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে হটলাইনের মাধ্যেমে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আমাদের কাছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং আমরা লজ্জিত। যেহেতু এই অভিযোগটি সম্পর্কে আমরা এখন জানলাম, তাই অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখা হবে।
ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ।
ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ। অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানান অন্যায়ের, পাশে থাকুন ভোক্তাকণ্ঠের।
আরও পড়ুনঃ পাঠাও কুরিয়ারের কারণে অনলাইন ব্যবসার ক্ষতি
আরও পড়ুনঃ ক্রেতাদের কাছে আদিয়ান মার্ট একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠান
ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ দেখুন ভোক্তাকণ্ঠে।