আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কেবল মৃদু অসুস্থতা তৈরি করছে কিনা তা নির্ধারণ সময় এখনও আসেনি। তবে ওমিক্রণের সত্যিকার প্রভাব বর্তমানে নির্ধারণ করা কঠিন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দেশটির আইনপ্রণেতাদের সামনে এক উপস্থাপনায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনাভাইরাসের এই ধরণটির সত্যিকার প্রভাব বর্তমানে নির্ধারণ করা কঠিন।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টে মূলত আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণেরা, যাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার সক্ষমতা বেশি। এছাড়া ভ্যারিয়েন্টটিতে সংক্রমিত হওয়ার কয়েক দিন পরেই অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিক্যাবল ডিজেসেস (এনআইসিডি) জানায় দেশটিতে বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৮ হাজার ৫৬১ জন সংক্রমিত হয়েছে। দেশটিতে এখন সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।
এনআইসিডি’র পাবলিক হেলথ সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স বিভাগের প্রধান মাইকেল গ্রুমি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সংক্রমণ মূলত তরুণ বয়স গ্রুপের মধ্যে দেখা গেছে কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি বয়স্করাও এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।’ আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, ‘আমরা আরও আশা করছি তাদের মধ্যে আরও তীব্র জটিলতা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখা নাও দিতে পারে।’
গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও বিজ্ঞানীরা নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কথা জানায়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটির নাম দেয় ওমিক্রন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড লেসেলস বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের রোগের তীব্রতা কম হচ্ছে কারণ ইতোমধ্যে টিকা নেওয়া বা অন্য ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া অনেক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, এই ভাইরাস ও ভ্যারিয়েন্ট যদি কার্যকরভাবে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভাইরাসটি টিকা না নেওয়া এবং সুরক্ষাবিহীন মানুষকেও আক্রান্ত করবে, তাদের রোগের তীব্রতা বাড়া আশঙ্কা বেশি।
সূত্র: ব্লুমবার্গ