আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি লুকায়িত বা গুপ্ত সংস্করণ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিনিয়ত শনাক্ত হওয়ার মধ্যেই এ সতর্কবার্তা আসলো।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের সঙ্গে গুপ্ত সংস্করণটির অনেকগুলো মিউটেশনের মিল রয়েছে। কিন্তু এর নির্দিষ্ট জেনেটিক পরির্তনের অভাব আছে। এই নতুন সংস্করণটি এখন পর্যন্ত গতানুগতিক সব পরীক্ষায় করোনাভাইরাস হিসেবে চিহ্নত হয়েছে। জিনোমিক পরীক্ষাতে ওমিক্রনের লুকায়িত সংস্করণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে যেসব প্রচলিত পিসিআর টেস্টে দ্রুত শনাক্ত হয় তাতে এই সম্ভাব্য ভ্যারিয়েন্টটি চিহ্নিত হচ্ছে না।
একদল গবেষক বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশে করোনার যে স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ছে একইভাবে ওমিক্রনের সম্ভাব্য ‘লুকায়িত’ সংস্করণটিও ছড়িয়ে পড়বে কিনা তা দ্রুত জানা প্রয়োজন। নতুন ধরনটি জিনগতভাবে স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন আচরণের আশঙ্কা রয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গবেষণার জন্য গত কয়েকদিনে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ও কানাডা থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে যে জিনোম দেওয়া হয়েছিল এরমধ্যে থেকেই ওমিক্রনের ‘লুকায়িত’ সংস্করণটি ধরা পড়ে। এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যেই ৭টি দেশে ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্টের নতুন ধরন পাওয়া গেছে এই তালিকায় যুক্তরাজ্য নেই।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে যতটা সংক্রমণ ভাবা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি বলে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স এবং ইংল্যান্ডের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি বৈঠকে অংশ নেন। এসময় বরিস বলেন, প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী বিদ্যমান ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে অধিক সংক্রমণেযাগ্য।
ওমিক্রনের নতুন সংস্করণ আবিষ্কারের ফলে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। গবেষকরা বি.১.১.৫২৯ ধরন ওমিক্রনকে ‘বিএ.১’ এবং নতুন সংস্করণটিকে ‘বিএ.২.’ নামকরণ করেন।
এ নিয়ে কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স। তিনি বলেন, ওমিক্রনের দুটি বংশ দেখা যাচ্ছে। প্রথম ‘বিএ.১’ এবং অন্যটি ‘বিএ.২.’। এগুলোর মধ্যে জিনগতভাবে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সেক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন ভিন্ন আচরণও করতে পারে।