শিশু-কিশোরদের সংস্থা ‘শৈশব’ কাজকর্ম না থাকা কর্মহীন মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছে। শরিয়তপুর উপজেলায় তাদের এই উদ্যোগে শামিল হতে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসনও।
টানা দীর্ঘ লকডাউন (Lockdown)। মাঝে ইদের জন্য সামান্য ছাড় ছিল। রবিবার থেকে ফের এক সপ্তাহের লকডাউন জারি হয়েছে দেশে।দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনের ফের পেটে টান। কাজকর্ম না থাকায় দু’বেলা দু’মুঠো আহার জোগাড় করাই কঠিন হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁদের জীবনে প্রায় ‘দেবদূত’ হয়ে এসেছে শিশু-কিশোরদের সংস্থা ‘শৈশব’। খাবার রান্নার দায়িত্ব ‘শৈশব’-এর স্বেচ্ছাসেবীদের। এরপর ছোট, বড় সদস্যদের হাত দিয়ে খাবার বিতরণ করানো হচ্ছে। তাতেই খিদের জ্বালা মেটাচ্ছেন কর্মহারা মানুষজন।
‘শৈশব’-এর সদস্যরা কেউ এখনও স্কুলে পড়ে, কেউ বা সবে স্কুল পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছে। সংগঠনের হাল তাদের হাতেই। একসময়ে সাহিত্যচর্চা, লেখালেখিতে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখলেও পরবর্তীতে একাধিক সামাজিক কার্যকলাপেও ঝাঁপিয়েছে তারা। এখন এটাই তাদের নিয়মিত কাজ।
কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষজনের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে ‘শৈশব’। কিন্তু শিশু, কিশোর বা সদ্য কৈশোর পেরনো সদস্যদের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কিন্তু নিজেদের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই শ্রমজীবী মানুষদের বিনামূল্যে খাবার বিতরণ শুরু করে তারা। এরপর তাদের এই মহৎ উদ্যোগ দেখে জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান পাশে এসে দাঁড়ান। তাতে পরিষেবা আরও মসৃণ হয়ে ওঠে।