ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
কৃষিপণ্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মুনাফা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। পণ্যভেদে উৎপাদন পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা করা যাবে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের বাজারে ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স লাগবে বলে উল্লেখ করা হয়েছ।
সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। অবিলম্বে এটি কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন বিধান রেখে কৃষিপণ্য বিপণন বিধিমালা-২০২১ প্রণয়ন করেছে সরকার। কৃষি বিপণন আইন-২০১৮-এর ক্ষমতাবলে কৃষি মন্ত্রণালয় এই বিধিমালা জারি করেছে। বিধিমালার আলোকে কৃষিপণ্যের জন্য নির্ধারিত বাজারে ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সবাইকে এই লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গুদাম পরিচালনার জন্যও প্রয়োজন হবে লাইসেন্সের।
বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে—খাদ্যশস্য; অর্থকরী ফসল; ডাল ও কলাই; মসলা (ধনিয়া, কালোজিরা, শুকনো মরিচ); ডিম, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, পান, সুপারি, ভূসি, ডাল, নারিকেল; প্রক্রিয়াজাত পণ্য (চিড়া, মুড়ি, সুজি, সেমাই, আটা, ময়দা, কৃষিপণ্যের জুস, আচার, বেসন, চিপস ইত্যাদি) এবং মাছ (তাজা, শুকনো, লবণজাত ও হিমায়িত) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ মুনাফা করা যাবে।
তেলবীজ (রাই, সরিষা, তিল, তিশি, বাদাম, নারিকেল, রেঢ়ি, সূর্যমুখী, সয়াবিন) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; ইক্ষু ও গুড় উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; ফল উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; ফুল (সব শুকনো ও কাঁচা, ক্যাকটাস, অর্কিড, পাতাবাহার) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; শাকসবজি (আলুসহ সব শাকসবজি) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; মসলা (পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, কাঁচ মরিচ) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ মুনাফা অর্জন করা যাবে।