গত জানুয়ারি থেকে এই বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে ইভ্যালি মোট অর্ডার পেয়েছে ১.০৮৬ কোটি। বিপরীতে এই সময়ে ইভ্যালি পণ্য ডেলিভারি করেছে ৩৫.৪৫ লাখ। অর্থাৎ, মোট অর্ডারের ৩২.৯৮% পণ্য ডেলিভারি দিয়েছে। বাকি ৫৮% অর্ডার বাতিল হয়েছে।
আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডট কমে পণ্য ও সেবা কেনার অর্ডার দিয়ে অর্ধেকেরও বেশি বাতিল করে দিচ্ছেন ক্রেতারা। তবে অর্ডার বাতিল করা ক্রেতাদের বড় অংশই সময়মত রিফান্ড পাচ্ছেন না। গত এক বছরে অর্ডার বাতিল করা গ্রাহকদের ৯ শতাংশেরও কম অগ্রিম পরিশোধ করা অর্থ রিফান্ড পেয়েছেন।
সময়মত পণ্য ও অগ্রিম পরিশোধ করা অর্থ রিফান্ড না পেয়ে ক্রেতারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির বিরুদ্ধে ২১৮০টি মামলা করেছেন ক্রেতারা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী উভয়পক্ষের শুনানী নিয়ে অধিদপ্তর ওই সময় পর্যন্ত ১৭৯৭টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবুল কুমার সাহা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির অর্ডার, ডেলিভারি, অর্ডার বাতিল ও রিফান্ডের তথ্য সংগ্রহ করেছে। ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে ইভ্যালি মোট অর্ডার পেয়েছে ১.০৮৬ কোটি। বিপরীতে এই সময়ে ইভ্যালি পণ্য ডেলিভারি করেছে ৩৫.৪৫ লাখ অর্ডারের। অর্থাৎ, মোট অর্ডারের ৩২.৯৮% পণ্য ডেলিভারি দিয়েছে।
মাসওয়ারী তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,
গত বছর জানুয়ারিতে ২.৯৫ লাখ অর্ডারের বিপরীতে ডেলিভারি হয়েছিল ৯৪ হাজার। ডেলিভারির প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ অর্ডার বাতিল হয়েছিল।গত এক বছরের মধ্যে গত বছরের জুন ও জুলাই মাসে মোট অর্ডারের অর্ধেক ডেলিভারি করতে সক্ষম হয়েছে ইভ্যালি। বাকি ১০ মাসে ডেলিভারির হার গড়ে ৩০ শতাংশেরও কম।