কিছুদিন ধরেই জুস ও ফলের দোকানগুলো ব্যবসা হচ্ছে জমজমাট । কারণ গরমে একটু স্বস্তির খোঁজে সাধারণ মানুষের আস্থা শরবতের গ্লাসে। আবার প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন ফলবাজার।
এখন যেকোনো এলাকার স্থায়ী বাজারের পাশাপাশি রাস্তার ফুটপাতে ভ্যান ও টেবিলের ওপর অস্থায়ী দোকান বসিয়ে লেবু ও ফলের শরবত, আম, জামসহ বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব অস্থায়ী দোকানগুলোতে লেবুর শরবত বিক্রি করা হচ্ছে পাঁচ টাকা গ্লাস আর ফল কিংবা ট্যাংয়ে শরবত গ্লাসপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। আখের রস প্রতি গ্লাস বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। ডাব বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৬০-৮০ টাকায়।
এভাবেই সাধারণ মানুষ পথ চলতে ক্লান্তি দূর করতে রাস্তার পাশের শরবত পান করে চলেছেন। শুধু প্রাপ্ত বয়স্করাই নয়, স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোররাও ভক্ত এ সব শরবতের। আর ক্রেতা আকর্ষণে নানা পদের উপকরণ ব্যবহার করছেন শরবত বিক্রেতারা।
বছর ঘুরে আবারও এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাসও বলা হয়ে থাকে। মধুমাসের এই সময়ে সারাদেশেই চোখে পড়ে গ্রীষ্মকালীন নানান ধরনের ফলের। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন ফলবাজার। তবে মৌসুমি হলেও মধুমাসের ফলগুলোর দামও কিন্তু বেশ চড়া। তাই দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ।
একজন ডাব বিক্রেতা বলেন, ঈদের পর ডাবের দাম কমেছে। গত দু-তিন দিন ধরে বিক্রিও বেড়েছে। তিনি বলেন, রোজায় ডাব বিক্রি করেছি ১০০-১২০ টাকা। সেই ডাব এখন বিক্রি ৬০-৮০ টাকায়। ঈদের পরের সপ্তাহে দিনে ৫০টি ডাবও বিক্রি হয়নি। তবে রোব ও সোমবার দিনের দুইশর বেশি ডাব বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মৌসুমী ফল বিক্রেতা বলেন, গতকাল দুইশ পিস তাল বিক্রি করেছি। আজ ২২০ পিস আনছি, বিক্রি হয়েছে ৩০টির মতো। সন্ধ্যার আগে সব বিক্রি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গরম বাড়ায় তালের শাস বিক্রি বেড়েছে। ২০০ টাকা কেজি দরে মৌসুমী ফল জাম বিক্রি করছেন তারা। আর বলেন, লিচুর ও জাম বিক্রি বেড়েছে। ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। লিচু বিক্রি করছি একশ পিস ২০০-৩০০ টাকা।